পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে কলটা আছে ঠিক, বলটা নেই। তার মানে হচ্চে এই যে প্রদীপট ফটো হয় নি, শিখাটা মান হয়ে এসেচে। তেলটাকে কেবলি ক্ষয় করে এসেছি ভত্তি করবার সময় দিই নি । পেরুতে যাবার জন্তে দু’বার চেষ্টা করেচি, ডাক্তারের নিষেধ তু’বার দ্বার, রোধ করে দাড়ালো । অবশেষে এবার ফিরে চলেচি। আর্জেন্টিনাতে প্রকাশ্য সভায় বক্ততা দিইনি, কিন্তু শেষাশেষি আমার ৰিভূতনিবাসের দরজা খুলে দিয়েছিলুম। প্রায়ই এক এক দল করে নরনারী আমার সঙ্গে দেখা করতে এসে আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেন, তার জবাবে পুরো বক্তৃতা দিত হত । এই উপলক্ষ্যে আর্জেন্টিনার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়েচে । এখানকার লোকে আমাকে খুবই ভালোবাসে, এ আমি একেবারেই প্রত্যাশা করি নি । আমি যে তাদের দেশে এতদিন ছিলুম এতেই তারা আনন্দিত । শিখা যখন মান হয়, যখন সামনের পথের দিকে মন চলতে চায় না তখন সুদূরের পিছনের কথাই মনকে প্রদোষের ছায়ায় ঘনিয়ে ধরে । মৃত্যুর কালো পটের উপর দূরস্কৃতির ছবি স্পষ্ট করে ফুটে ওঠে। তাই আজকাল আমার মনে আমার কিশোরের সেই সব কালের কথা ঘুরে বেড়াচ্চে যে সব কাল দিগস্তের সম্পূর্ণ আড়ালে পড়ে গেছে। সামনের দিকে তাদের কোথাও আর খুজে পাওয়া যাবে না। তাই আমার কবিতার মধ্যে তাদের আশ্রয়ের জন্তে স্বপ্নলোক বানিয়েছি । এই এক খেলা । এ খেলার ঠিক মানে তোমরা অনেকে বুঝতে পারবে না, কেননা প্রভাতের সূৰ্য্য তোমাদের চোখের সামনে, ૨ જે ૧