পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মবিদ্রোহীদের জীবন্ত সমাধি দেওয়া হয়— ব্রিটিশ গবর্মেন্ট এই প্রথা নিবারণের চেষ্টা করচে । এই রকম খবরের মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষের সঙ্গে এদের পরিচয় ঘটে থাকে। যাই হোক ভারতবর্ষ থেকে আমার এতদিনকার অতিদূরত্ব আমার মনকে যেন উপবাসী করে তুলেচে । যখন চীনে জাপানে ছিলুম তখন নির্বাসনবোধ এমন সুতীব্র ছিল না । তার প্রধান কারণ বৰ্ত্তমান চীন জাপানের ভিতরে অতীত ভারতবর্ষের স্পর্শ পদে পদে পাওয়া যাচ্ছিল যাই হোক ভারতবর্ষের নিকটের দিকে এগিয়ে চলেছি বলে মনটা আরাম বোধ করচে । ইটালিতে তুমি যদি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারতে কাজে লাগত। তুমি এদের সবাইকে জানো, ভালো করে পরিচয় ঘটিয়ে দিতে পারতে, আমাকে হাংড়িয়ে বেড়াতে হ’ত না । যাই হোক সেখানে যারা তোমার বন্ধু আছেন তারা বোধ হয় আমার দায়িত্ব নিতে পারবেন । কিন্তু এবারে গোড়া থেকেই সব উলটে পালটে যাওয়াতে মনে হচ্চে যেন বিশেষ সুবিধে হবেন । একটা কথা প্রশাস্তকে জিজ্ঞাসা করতে ভুলো না । তুমি ত জানই সাঙ ঘাইয়েতে কাছুরির কাছ থেকে কৃপখনন উপলক্ষ্যে আট হাজার টাকা নিয়েছিলুম। কথা ছিল এই শীতেই কাজ আরম্ভ হবে । আমি শাস্তিকেতন থেকে যত চিঠি পেয়েচি তাতে এ ব্যাপারের কোনো উল্লেখমাত্রই নেই। ভয় হচ্চে পাছে আট হাজার টাকা বিশ্বভারতীর অভাবের অন্ধকূপে સ્વ જ છે