পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাতে আমার গুরুতর অাথিক ক্ষতিও হয়েছিল । মনে করে এসেছিলেম এখন থেকে জনতা ছেড়ে বিরলে নিভৃতে বাস করব । প্রথমে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন গুরুসদয় দত্ত মহাশয় । তার পত্নীর স্মৃতিসভায় সাভাপত্য করতে হবে । আমি তাকে ডাক্তারের অনুশাসন জানালেম । তিনি বল্লেন, তাছা যদি আপনি সভাসমিতির কাজ একান্তই ত্যাগ করেন তাহলে নিদৃতি দিলুম। কিন্তু যদি আর কোথাও আবিভূত হন কেবল আমাকেই বঞ্চিত করেন তাহলে বুঝব আমার প্রতিই আপনি প্রমিকৃল । আমার পক্ষে আত্মবক্ষার উপায় হচ্চে নির্বিরচারে সকল প্রকার সভাচর্যা থেকে দূরে পলায়ন । এই মুক্তির পস্থায় তোমরাও আমার সহায়ত কোরো। বৃহত্তর ভারত সম্বন্ধে তোমাদের আলোচনা পড়ে দেখলুম। খুসি হলেম । বিশ্বভারতী থেকে খুব বেশি পার্থক্য আছে বলে বোধ হয় না । তোমাদের শক্তি আছে, শিক্ষা আছে, মণ্ডলী আছে তা তএব কৃতকার্য্য হবে সন্দেহ নেই । ইতি ১ জানুয়ারি ১৯২৭ স্নেহানুরক্ত ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর