পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীমান প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় আশ্রমের ভূতপূর্ব ছাত্র প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধ বাসরে আচার্য রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা— ৪ঠ আশ্বিন ১৩২৬ এখানে যারা একসঙ্গে এসে মিলেচি, তাদের অনেকেই একদিন পরস্পরের পরিচিত ছিলুম না; কোন গৃহ থেকে কে এসেচি, তার ঠিক নেই । যে দিন কেউ এসে পৌছল, তার অাগের দিনে ও তার সঙ্গে অসীম অপরিচয় । তারপরে একেবারে সেই না-জানার সমুদ্র থেকে জানা শোনার তটে মিলন হল । তারপরে এই মিলনেব সম্বন্ধ কতদিনের কত ন-দেখা শুনোর মধ্যে দিয়েও টিকে থাকবে । এই জানাটুকু কতই সঙ্কীর্ণ, অথচ তার পূৰ্ব্বদিনের না-জানা কত বৃহৎ । মায়ের কোলে যেমনি ছেলেটি এল, অমনি মনে হল এদের পরিচয়েব সীমা নেই; যেন তার সঙ্গে অনাদিকালের সম্বন্ধ, অনন্তকাল যেন সেই সম্বন্ধ থাকবে । কেন এমন মনে হয় ? কেননা, সত্যের ত সীমা দেখা যায় না । সমস্ত “না” বিলুপ্ত করেই সত্য দেখা দেয় । সম্বন্ধ যেখানেই সত্য সেখানে ছোট হয় বড়, মুহূৰ্ত্ত হয় অনন্ত ; সেখানে একটি শিশু আপন পরমমূল্যে সমস্ত সৌরজগতের সমান হয়ে দাড়ায়, সেখানে কেবল জন্ম এবং মৃত্যুর সীমার মধ্যে তার জীবনের সীমা দেখা যায় না, মনের মধ্যে আকাশের ধ্রুবতারাটির মত সে দেখা দেয়। যার সঙ্গে সম্বন্ধ গভীর হয়নি, তা’কে মৃত্যুর ૭૨ જે