পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দপ্রবাহ বয়ে চলেছে, তার মধ্যে সেও তার জীবনের গতি কিছু দিয়ে গেল, এখানকার সৃষ্টির মধ্যে সেও আপনাকে কিছু রেখে গেল। এখানে দিনের সঙ্গে দিন, কাজের সঙ্গে কাজ, ভাবের সঙ্গে ভাব, প্রতিদিন যে গাথা পড়চে, নানা রঙে নানা স্থতোয় মিলে এখানে একটি রচনাকার্য্য চলচে । সেইজন্তে এখানে আমাদের সকলেরই জীবনের ছোট বড় নানা টুকরো ধরা পড়ে যাচ্চে ; সেই বালকেরও জীবনের যে অংশ এখানে পডেচে, সমস্ত আশ্রমের মধ্যে সেইটুকু রয়ে গেল, এই কথাটি আজ তার শ্রাদ্ধ-দিনে মনে করতে হবে । তা ছাড়া তার জীবনের কীৰ্ত্তিও কিছু আছে এখানে । ভুবনডাঙাব গবীবদের জন্তো সে এখানে যে নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করে গেছে, তার কথা তোমর। সবাই জান । চাদ ংগ্রহ করে আমরা অনেক সময়ে মঙ্গল অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে থাকি । কিন্তু তার চেয়ে বড় হচ্চে নিজেব সাধা দ্বারা, নিজের উপার্জনের অর্থের দ্বারা কাজ করা । নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন সম্বন্ধে মুলু তাই করেচে। সে পুরানো কাগজ নিজে বোলপুরে বয়ে নিয়ে বিক্ৰী কলে এই বিদ্যালয়ের বায় নিৰ্ব্বাহ করত । সে নিজে তাদের শেখাত, তাদেব তামোদ দিত । এ সম্বন্ধে আশ্রমেব কর্তৃপক্ষের কোনে সাহায্য সে নেয়নি । এই অনুষ্ঠানটি কেবল যে তার ইচ্ছা থেকে প্রস্থত, তা নয়, তার নিজের ত্যাগের দ্বারা গঠিত । তার এই কাজটি, এবং তার চেয়ে বড় তার এই উৎসাহটি, আশ্রমে রয়ে গেল ।