পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই পত্র উপলক্ষে প্রবাসী ( আশ্বিন ১৩৩৩ ) এবং মডার্ণ রিভিয়ু ( অক্টোবর ১৯২৬ ) পত্রিকার যথাক্রমে ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ ও *Notes' অংশে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশিত হয় । প্রবাসীতে লেখা হয় ‘ • • • • • কবি পূর্বে ইতালীয় গভর্ণমেণ্টের আতিথ্য গ্রহণ করিয়া ও তৎপরে তা হাদিগের সমালোচনা করিয়া ইতালীয়দিগের মনে যে অসস্তোষের ভাব জাগ্ৰত কবিয়াছেন তাহ ভারতের পক্ষে কোন প্রকারেই লাভজনক হইতে পারে না । যে অতিথি ও যে আতিথ্য দান করে তাহীদের মধ্যে পরস্পর ব্যবহারের যে অাদর্শ তাহা ও ইহাতে ক্ষুন্ন হইয়াছে । ইহা ও না হইলেই ভাল হইত...যদি তিনি বা তাহার কৰ্ম্ম সচিবগণ উন্মুক্ত চক্ষ অবস্থায় সঙ্কীর্ণ স্বদেশবাদের চরম উদাহরণ ইতালীর প্রভু মুসোলিনীর আতিথ্য গ্রহণ করিয়া প্রথমতঃ উন্নত ও উদার—বিশ্বপ্রেমবাদীর অহপযুক্ত কাৰ্য্য করেন ও দ্বিতীয়তঃ যে কোন কারণ দেখাই যা তীব্র সমালোচনায় সেই মুসোলিনীর আতিথেয়তার প্রতিদান করেন ; তাহা হইলে অন্তত একথা বলিতে হয় যে, ব্যাপারটি সকল দিক হইতে দেখিলে আদেশরূপে সম্পন্ন হয় নাই । দার্শনিক কবি সকল বাহ্যিক অবস্থা সম্বন্ধে উদাসীন হইতে পারেন, কিন্তু তাহার বিচক্ষণ কর্মসচিবদ্বয় ঐযুক্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শ্রীযুক্ত প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবীশ ( যাহারা যুবক, ইয়োরোপ-আমেরিকার বহু মনীষীর সহিত পত্রালাপে তৎপর এবং স্বচিন্তা ও স্ব ব্যবস্থায় বিচক্ষণ, তাহারা ) কি বলিয়া কবিকে ইতালীর স্বেচ্ছাচারী নেতা ও মানব-স্বাধীনতার আদর্শের বিরুদ্ধাচারী মুসোলিনীর গৃহে অতিথিরূপে লইয়া গেলেন ?•••ইতালীয় গভর্ণমেণ্টের সহিত সখ্য-স্থাপনের প্রচেষ্টার মধ্যে আমরা ইহাদিগের সেই মনোভাবেরই পরিচয় পাই, ●bra