পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই পর্বে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলেও ১৯৩১ সালেও দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ও যদুনাথের মধ্যে শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমান ছিল। উভয়ের ঐ সময়কার চিঠিপত্রের সাক্ষ্য থেকেই তা প্রমাণিত হয় । ‘গাছের গল্পটা'—বলাই, এই বৎসর শাস্তিনিকেতনে বর্ষা উৎসব উপলক্ষে রচিত, ও রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক পঠিত ; প্রবাসী অগ্রহায়ণ ১৩৩৫ সালে মুক্রিত। পরে গল্পগুচ্ছ তৃতীয় খণ্ডে সংকলিত । পত্র ৯৩ ৷ ‘হোম য়ুনিভার্সিটির . প্রয়োজন হবে।" প্রবাসী পত্রিকায় আষাঢ় ১৩৪৮-এ লোকশিক্ষা গ্রন্থমালার ‘জাহার ও আহার্য’ গ্রন্থটির আলোচনা প্রসঙ্গে রামানন্দ লিখেছিলেন : ‘আমরা অনেক বৎসর পূর্বে সর্বসাধারণের বাউীতে বসিয়া জ্ঞান লাভের স্ববিধার নিমিত্ত বিলাতী হোম য়ুনিভার্সিটি লাইব্রেরির অনুরূপ কতকগুলি বাংলা বহি লিখাইবার ও প্রকাশ করিবার প্রস্তাব করিয়াছিলাম । সেই প্রস্তাব রবীন্দ্রনাথের ভাল লাগিয়াছিল, একখানি চিঠিতে জানাইয়াছিলেন।’ সম্ভবত ৯৩ সংখ্যক পত্রটিই রামানন্দ উল্লিখিত পত্র । মনে রাখা যেতে পারে যে রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগে ১৯১৭ সালে ‘বিশ্ববিদ্যা সংগ্রহ’ গ্রন্থমালা প্রকাশের পরিকল্পনা হলেও তা তখন কার্যকরী হয়নি । এই বিষয়ে ৫১ সংখ্যক পত্রের পরিচয় দ্রষ্টব্য । ৯৩ সংখ্যক পত্রে ‘হোম য়ুনিভার্সিটি'র আদর্শে পাঠ্যগ্রন্থ রচনার (>) এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য : 'সেই যে বাংলা Home Library পর্যায়ের বই লেখাবার প্রস্তাব করেছিলে—সেটা ভুলো না । ভারি দরকার’—চিঠিপত্র-s, পত্র-৫৩, পৃ ২১৯ । 8→२