পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণ তার থেকে নিস্কৃতি পাবে না। এ ক্ষেত্রে হারলেও মৃত্যু জিতলেও মৃত্যু । আমাদের মধ্যে যে-কোনো সম্প্রদায় জাতীয় সত্তার মূলে যদি কুঠার চালায় আর এই মনে করে খুসি হয় যে সে আছে উপরের শাখায় তাহলে তার সে আনন্দ কখনো টিকিতে পারে না । কিন্তু এ কথা বলে গলা ভাঙলেও বিশেষ ফল হবে না— কারণ মানুষের রিপু যখন যে কোনো উপলক্ষ্যেই উত্তেজিত হয় তখন আত্মীয়কে আঘাতের দ্বারা আত্মহত্যা করতেও কুষ্ঠিত হয় না। ইতিহাসে যত কিছু শোচনীয় ঘটনা ঘটে তা এমনি করেই ঘটে, মানুষ আপনি মরবে জেনেও অন্তকে মারে । আমাদের সাধনা আজ কঠিন হয়ে উঠল--- অসহ আঘাতেও আত্মসম্বরণ করতে যদি না পারি তাহলে আমাদের তরফেও আত্মহত্যার অায়োজন করা হবে – শক্রিগ্রহের হবে জয় । মন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে আছে বলেই তোমাকে এসব কথা লিখলুম— কথাটা এস্থলে প্রাসঙ্গিক নয় কিন্তু মৰ্ম্মান্তিক – এই চিঠি থেকে কথাগুলো নিয়ে চিঠির আকারেই প্রবাসীতে পাঠাব স্থির করেচি । তোমার রোগের যে ফর্দ পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেল তোমার দেহে এক হাসপাতাল-ভরা ব্যামো। তার অনেকগুলোই তোমার স্বরচিত বলেই আমার বিশ্বাস । দীর্ঘকাল ধরে তাদের বাসা দিয়েছ, তাদের যদি নোটিশ দিয়ে বিদায় করে তাহলে আবার নতুন বাসাড়ে জুটিয়ে আনবে। নিজের হাতে দুঃখ রচনা করবার অসাধারণ ক্ষমতা তোমার অাছে তাই সন্দেহ করচি অন্তত অনেকগুলো ব্যামোই তোমার হাতগড়া। রোগসৃষ্টিকার্যে ನಿ!* じア。