পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 & ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ কল্যাণীয়াসু আমি চিঠি লিখতে ক্রটি করিনে, কিন্তু আনমনা মানুষ, উত্তর দিতে ভুলে যাই । আজ আরম্ভেই তোমার প্রশ্ন ক’টির জবাব দেব | একটা কথা মনে রেখো, গল্প ফোটোগ্রাফ নয়। যা দেখেছি যা জেনেছি তা যতক্ষণ না মরে গিয়ে ভূত হয়, একটার সঙ্গে আরেকটা মিশে গিয়ে পাচটায় মিলে দ্বিতীয়বার পঞ্চত পায় ততক্ষণ গল্পে তাদের স্থান হয় না । ১ । গোরা ও নৌকাডুবির কল্পনা সম্পূর্ণ ই আমার মাথার থেকে বেরিয়েচে । এমন ঘটনা ঘটেচে বলে জানিনে কিন্তু ঘটলে কী হতে পারত সেইটে ইনিয়ে বিনিয়ে লিখেচি । ২ । দালিয়া গল্পটায় ইতিহাস যেটুকু অাছে সে অাছে গল্পের বহিঃপ্রাঙ্গণে— অর্থাৎ গাছে চড়িয়ে দিয়ে মই নিয়েচে ছুটি । আসল গল্পটা ষোলো অানাই গল্প । ৩। কেশরলালের গল্পটা পেয়েচি মগজ থেকে। চতুর্মুখের মগজ আছে কিনা জানিনে কিন্তু তিনি কিছু-না থেকে কিছুকে যে ভাবে গড়ে তোলেন এও তাই। অনেককাল পূর্বে একবার যখন দাৰ্জিলিঙে গিয়েছিলুম, সেখানে ছিলেন কুচবিহারের মহারাণী। তিনি আমাকে গল্প বলতে কেবলি জেদ করতেন। এই গল্পটা তার সঙ্গে দাৰ্জিলিঙের রাস্তায় বেড়াতে বেড়াতে মুখে মুখে & 8