পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলো, তাহলে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দাবী করব, শাস্ত্রবাক্যমাত্রকেই শিরোধাৰ্য্য করব না। তোমার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখতে পাই । যখন ব্যাখ্যা করে তখন তত্ত্বব্যাখ্যা করো, যখন ব্যবহার করে তখন সংস্কারকে চোখ বুজে মেনে নাও । এ পথে আমি যেতে পারিনে। অথচ তোমার আশ্রয় থেকে তোমার মুগ্ধ মনকে নড়াতে ইচ্ছা যায় না । যেখানে তোমার আনন্দ সেখানে তুমি মজ্জিত হয়ে থাক তাতে দোষ নেই। তার বদলে তোমাকে কিছু দিতে পারি এমন শক্তি আমার কোথায়! আমার প্রয়োজন পূর্ণ হয় তত্ত্বকে যখন সত্য বলে অন্তরে উপলব্ধি করি— বাইরেকার কল্পিত রূপে তাকে বন্দী করে অতিবিশেষ করে দেখতে গেলে আমার চিত্ত নিজেকে প্রবঞ্চিত মনে করে, সে রকম আত্মবঞ্চনায় আমার কোনে দিন প্রয়োজনবোধ হয় না । যদি বলো এ তো আত্মবঞ্চনা নয়, এ বাস্তব সত্য, তাহলেই কথা ওঠে বাস্তব সত্যকে বিশ্বাসের জন্য যৌক্তিক প্রমাণ না হলে নয়। ইতিহাস শ্রদ্ধা লাভ করে একমাত্র ঐতিহাসিক বিচারের পরে। কিন্তু তোমাকে এ সব কথা বলতে গেলে আমার ব্যথা লাগে । যে বিশ্বাস তোমার প্রেমের মধ্যে রক্ষিত তাকে আঘাত করা তোমাকেই আঘাত দেওয়া ! কি হবে এমন পীড়ন করে ? তোমাদের সম্প্রদায়ে যে ব্যবহারটাকে আমার অন্যায় বলে মনে হয় সে সম্বন্ধে আপত্তি না করে থাকতে পারিনে । তোমার চিত্তকে বুদ্ধির ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণের স্বাধীনত না দেওয়া মানব অধিকারকে পীড়ন করা, সুতরাং সেটা বস্তুত অধাৰ্ম্মিকত । আমার কাছে এসে আমার কথা শুনলে যদি সেটাকে কোনো な"