পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G ર ২১ অক্টোবর ১৯৩১ હૈં কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠিতে আমাকে বর দিয়েছ আমি যেন আমার মনের মানুষ খুঁজে পাই । এর থেকে বোঝা গেল এতদিন তোমাকে যা বলে এসেচি তা তুমি বোঝে নি। আমার মনের মানুষের উপলব্ধি আমার অস্তরে পূর্ণত পাবে এই আমি কামনা করি “হৃদ মনীষা মনসাভিক্৯প্তে। য এতদ্বিত্রমৃতাস্তে ভবন্তি।” এই মনের মানুষ কেবলমাত্র রসভোগের নেশায় মাতিয়ে রাখবার জন্তে নয়, মনুষ্যত্বের সম্পূর্ণ উদ্বোধনের জন্তে । এই মনের মানুষই তো আমাকে একদিন আত্মনিবিষ্ট সাহিত্যসাধনার গণ্ডী থেকে শাস্তিনিকেতনের কৰ্ম্মক্ষেত্রে টেনে এনেছিল । সে কি সঙ্গ পাবার জন্তো, মুখ পাবার জন্যে । এই ত্রিশ বৎসর যে কঠিন দুঃখের পথে আমাকে চলতে হয়েচে তার ইতিহাস কেউ জানবে না— এই দুঃখেই আমার মনের মানুষের সঙ্গে আমার যোগ । তোমার চিঠিতে তোমাদের বাচিক পূজার দীর্ঘ বর্ণনা করেছ। এই রসতুপ্তির সমারোহে আমার মন সায় দেয় না। আমি যাকে পূজা বলি, সে কঠিন কৰ্ম্মে, সত্যের সাধনায় । লোকহিতে আত্মোৎসর্গের যে আয়োজন সেই আয়োজনেই মনের মানুষে পূজা,– যে দেশে এই পূজা সত্য হয় সেই দেশেই । সম্মান স্বাস্থ্য, সেই দেশেই জ্ঞানবীর কৰ্ম্মবীরদের যজ্ঞশালা।— আমার মনের মানুষ কোনো ব্যক্তিবিশেষ নন এ কথা নিশ্চয় জেনে । X e 8