পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্তার আভাস পেয়েছি ইতিহাসে নরোত্তমদের মধ্যে । যেমন ভগবান বুদ্ধ। তিনি সকল মানুষের মুক্তির জন্তে আত্মদান করেছিলেন– তার ভক্তেরা শুচিবায়ুগ্ৰস্ত হয়ে ভক্তিকে ভোগের জিনিষ করেন নি— ভক্তি র্তাদের বীর্য্য দিয়েছিল, তুর্গম সমুদ্র পৰ্ব্বত লজঘন করে তারা মানুষকে সত্য বিতরণ করবার জন্ত্যে দেশে বিদেশে প্রাণ দিয়ে এসেচেন । কাদের দেশে ? যাদের তোমরা স্লেচ্ছ বল, যারা তোমাদের দেবতার মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মার খেয়ে মরে – তোমার পূর্বপত্রে একটা প্রশ্ন ছিল, নিজের খ্যাতি বিস্তার করবার জন্যে অামি মাইনে দিয়ে লোক রেখেচি কিনা । এ রকম সন্দেহ কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। এই দেশেই লোকে কানাকানি করে, যে, কোনো বিশেষ কৌশলে আমি নোবেল প্রাইজ পেয়েছি এবং আমার যে ইংরেজি রচনা খ্যাতি পেয়েচে সেগুলো কোনো ইংরেজকে দিয়ে লেখা – তথাপি এ দেশেও আমার ভক্ত আছে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমি পূজা চাইনে। যদি সত্যিই চাইতুম তাহলে এই ধৰ্ম্মমুগ্ধ দেশে অবতার হয়ে ওঠা অামার পক্ষে শক্ত হত না । আমি যার পূজায় প্রবৃত্ত অন্যদের কাছে তার পূজাই চেয়েচি। তুমি আবিষ্কার করেচ আমি ঈশ্বর নই। শুনে বিস্মিত হলুম। তুমি কাকে ঈশ্বর বল আমি জানিনে— ঈশোপনিষদে এক ঈশ্বরের কথা আছে— তিনি সৰ্ব্বভূতকে অনন্তকাল ব্যাপ্ত করে আছেন, আমি যে সে ঈশ্বর নই সে কথা মুখে উচ্চারণ করবারও দরকার ছিল না। ইতি বিজয়া দশমী [ ৪ কাৰ্ত্তিক ] ১৩৩৮ দাদা ծlԵ. > e &