পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& S. [ দাৰ্জিলিং ] ২৬ অক্টোবর ১৯৩১ \$ কল্যাণীয়াসু এখানে এসে অবধি শয্যাগত হয়েই আছি। বোধ হয় ইনফ্লুয়েঞ্জার একটা আবৰ্ত্ত শরীরের মধ্যে ঘুরপাক দিয়ে বেড়াচ্চে। আজ সকালে ক্ষণকালের জন্তে উঠে বসেছি এমন সময় কাচের প্রাচীরের আড়াল থেকে শ্রীপতি ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে । ভিতরে এসে তোমার চিঠিখানি আমাকে দিল। এ কথা পূর্বেও বলেচি আমার অনুরোধে তোমার আচার অনুষ্ঠান অভ্যাস কিছুরই পরিবর্তন কোরো না । তোমার যুক্তি তোমার শ্রেয়োবুদ্ধি আপনা থেকে যাতে সায় না দেবে তা কখনো তোমার আপন জিনিষ হতে পারবে না। আমার বলবার কথা এই, তুমি গভীরভাবে নিজে চিন্তা কোরো, এবং এই কথাট। মনে জেনো, ধৰ্ম্ম মানেই মনুষ্যত্ব— যেমন আগুনের ধৰ্ম্মই অগ্নিত্ব, পশুর ধৰ্ম্ম পশুত্ব । তেমনি মানুষের ধৰ্ম্ম মানুষের পরিপূর্ণত । এই পরিপূর্ণতাকে কোনো এক অংশে বিশেষভাবে খণ্ডিত করে তাকে ধৰ্ম্ম নাম দিয়ে আমরা মনুষ্যত্বকে আঘাত করি । এই জন্যেই ধৰ্ম্মের নাম দিয়ে পৃথিবীতে যত নিদারুণ উপদ্রব ঘটেচে এমন বৈষয়িক লোভের তাগিদেও নয়। ধৰ্ম্মের অাক্রোশে যদি বা উপদ্রব নাও করি তবে ধৰ্ম্মের মোহে মানুষকে নিজ্জীব করে রাখি তার বুদ্ধিকে নিরর্থক জড় অভ্যাসের নাগপাশে অস্থিতে মজ্জাতে নিম্পিষ্ট করে ফেলি— দৈবের প্রতি দুৰ্ব্বল ভাবে و& o (