পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসক্ত করে’, নানা কাল্পনিক বিভীষিকার বাধায় পদে পদে প্রতিহত করে তাকে লোকযাত্রায় অকৃতার্থ ও পরাভূত করে তুলি। বুদ্ধি যেখানে শৃঙ্খলিত, পুরুষকার যেখানে গুরুভারগ্রস্ত, সেই হতভাগ্য দেশে সৰ্ব্বপ্রকার দৈহিক মানসিক রাষ্ট্রিক অমঙ্গল অব্যাঘাতে অচল হয়ে ওঠে। মানুষের পরিপূর্ণতার যে ধৰ্ম্ম তার মধ্যে ত্যাগ আছে, ভোগ আছে, বুদ্ধি আছে, কল্পনা আছে, কৰ্ম্ম আছে, চিন্তা আছে, সৌন্দর্য্য আছে, কঠোরতা আছে – এই সমস্ত কিছুর শ্রেয়স্করতা হচ্চে তার সৰ্ব্বজনীনতায়, তার নিত্যতায়— অর্থাৎ এই সকলের মধ্য দিয়ে আমরা মহামানবের শাশ্বত অভিপ্রায়কে নিজের মধ্যে সার্থক করি । অামার সার্থকতা যদি সকল মানুষের সার্থকতা না হয় তবে সে ধৰ্ম্মের ক্ষেত্রের বাইরে পড়ে, বিষয়ের ক্ষেত্রে দাড়ায় । এর কারণ এই যে, বাঘ আপন একান্ত ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যেও আপন ব্যাঘ্রত্ব রক্ষা করতে পারে,— কিন্তু মানুষ যে পরিমাণে একলা সেই পরিমাণেই সে অমানুষ। আমি যে কবিতা লিখি সে যদি নিতান্তই আপনার খেয়ালেই চলে সমস্ত মানুষের খেয়ালের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য না থাকে তাহলে মানুষের সাহিত্যে সে টিকবে না । তেমনি মানুষের বিজ্ঞান দর্শন শিল্পকলা মানুষের মুক্তি –এ সব কিছুই সমস্ত মানুষকে জড়িয়ে । এই যে একজন মানুষ সকল মামুষের বুদ্ধি জ্ঞান শক্তি শ্রেয়ের সঙ্গে সম্মিলিত, দূরকালে দূরদেশে তার মানবসম্বন্ধ প্রসারিত এইটেই মানুষের বিশেষত্ব। এই বিশেষত্বকে যে তপস্যা পূর্ণতার অভিমুখে নিয়ে যায় আমি তাকেই ধৰ্ম্ম বলি। এই সৰ্ব্বাঙ্গীণ পূর্ণতাকে যা কিছু পঙ্গু করে তাকে So a