পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের মনুষ্যত্বকে অবমানিত করচে । বিধাতার দত্ত বুদ্ধির সম্মান একেবারে ঘুচে গেছে, আমাদের স্বরচিত চোখে ঠুলি দেওয়া অন্ধতাকে আমরা ধৰ্ম্মের নামে পূজা করি। এইখানে আমাদের পরাভব হতেই হবে । মানুষের দুঃখ আজ জগদ্ব্যাপী— তার মাঝখানে আমাদের সমাজ জুড়ে নিরর্থকতার বিপুল আয়োজন আমাকে লজ্জিত ও দুঃখিত করে । সে কথা তোমার কাছে লুকোতে পারিনে। তুমি মনে করতে পার এটা আমার মজ্জাগত বৈদেশিকতা, তা যদি সত্য হয় তাহলে স্বাদেশিকতা অশ্রদ্ধেয় । সম্প্রতি এখানে জগজ্জননীর নামে জীবরক্তের স্রোত বয়ে গেছে আর তাই নিয়ে যে উন্মত্ততা সে অনার্য্যের উন্মত্ততা— অথচ সেও ধৰ্ম্ম এবং মেয়েরাও এই রক্ত নিয়ে ছেলের কপালে ফোটা দিয়ে দেয়, মনে করে মাএর আশীৰ্ব্বাদ পেলে । ইতি ৯ কাৰ্ত্তিক ১৩৩৮ দাদা >9>