পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে অপদেবতার লড়াই হোক না কেন, মাঝের থেকে মানুষ কেন পায় শাস্তি ? যদি বলে পুরুষকারের জোরে গ্রহফল খণ্ডন হয় তাহলে গ্রহটাকে হিসাব থেকে বাদ দিয়ে রাখলেই তো পুরুষকার পুরো পরিমাণে জোর পেতে পারে। বিমানচার অনধিগম্য শত্রুর বিভীষিকার ছায়ায় মনকে পদে পদে আচ্ছন্ন করে কেউ কি কখনো জীবযাত্রায় জয়লাভ করতে পারে ? দেশে চারদিকে তোমার শত্রু আছে ম্যালেরিয়া, মূৰ্খতা, গোড়ামি, নিরুদ্যম, পরস্পর ঈর্ষ্য কলহ নিন্দুকতা মূঢ়ের আত্মাভিমান, আরো কত কি— এর সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যুদ্ধ করতে হবে বুদ্ধির দ্বারা সুবিবেচনার দ্বারা চারিত্রবলের দ্বারা— এর উপরে পঞ্জিকাবিহারী শত্ৰুভয় আর বাড়াও কেন ? যে দেশের হাড়ে মজ্জায় নানা আকারে ভয় ঢুকে চিত্তকে ঘুণে খাওয়া করে দিয়েচে,— এমন সব ভয় যার অস্ত্র নেই, যেখানে যুক্তি পৌছয় না, সে দেশকে বাচাবে কে ? অামাদের দেশে গ্রহনক্ষত্রের সঙ্গে পরামর্শ করে শুভলগ্নে তো সকলেরই বিবাহ হয়— লগ্ন যে পদে পদে বিশ্বাসঘাতকতা করে তার হাজার প্রমাণ চারদিকেই– কিন্তু মূঢ়তার জোর কমে না। তর্ক করবার সময় বলে লগ্নফলের উপর স্ত্রীপুরুষের ভাগ্যফল আছে। শুধু স্ত্রীপুরুষ কেন, ভাই বোন শ্বশুর শাশুড়ি, ভাবী সন্তান সকলেরই ভাগ্যফল পরস্পর বিজড়িত । তাই যদি হয় পাড়াপ্রতিবেশী এবং দেশ বিদেশের লোককে বাদ দেওয়া চলবে না। যে ইংরেজের ছেলে বাদর ভ্রম করে শিকার করতে গিয়ে বাঙালীর ছেলেকে মেরেচে শুধু সেই নিহত ও হস্তারকের ভাগ্যফল গণনা করলে তো হবে না, ধরে নিতে হবে છે છે ૨