পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়েছিল সেখানকার নিদারুণ ম্যালেরিয়া । তার পরে বৈজ্ঞানিক বুদ্ধি ও উদ্যমের সাহায্যে সেখান থেকে ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণ দূর হয়ে গেছে । তার কারণ এ নয় যে সেখানে যত অধিবাসী আছে তাদের সকলের কুষ্টি থেকে ম্যালেরিয়াবিধায়ক কুটিল গ্রহ সরে দাড়িয়েচে । তার কারণ এই যে, ঈশ্বর আমাদের যে-বুদ্ধি দিয়েচেন তাকে স্বীকার করার দ্বারাই প্যানামা প্রদেশের ব্যাধি দূর হয়ে গেছে। অথচ আমাদের দেশে আমরা ঈশ্বরদত্ত বুদ্ধিকে মানিনে আমাদের আয়ত্তের অতীত গ্রহকে মানি ম্যালেরিয়াও নড়তে চায় না । যদি কখনো তুমি পাশ্চাত্য মহাদেশে যেতে তাহলে সেখানকার লোকদের দৈহিক মানসিক শক্তি স্বাস্থ্য সম্পদ দেখলে বিস্মিত হতে । তার প্রধান কারণ অন্ন বস্ত্র আরোগ্য সমস্তই তারা নিজের বুদ্ধির দ্বারা উদ্ভাবন করচে, তারা গ্ৰহমুখাপেক্ষীদের উপরে জয়ী হচ্চে। বসন্ত প্রভৃতি অনেক মারকেই তারা তাড়িয়েচে । এখনো ক্যান্সার ও যক্ষ্মার উপরে জোর খাটচে না— কিন্তু তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস, বিজ্ঞাননির্দিষ্ট আত্মবুদ্ধির পথে অধ্যবসায় চালনা করলে একদিন তারা ও দুটি রোগকেও আয়ত্তে আনতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা যে কেবল মঙ্গল গ্রহের দিকেই সভয়ে তাকিয়ে অাছি তা নয় শীতলা আছেন, ওলাবিবি আছেন আরও কত কি আমার জানা নেই। বিধিদত্ত নিজের বুদ্ধিকে যারা অবিশ্বাস করে তাদের ভয়ের আর অন্ত নেই। তারা মা শীতলাকেও ছাড়বে না ডাক্তারকেও না, গ্রহকেও মানবে এদিকে আপিসের বড়ো বাবুরও পায়ে তেল দেবে। এমন দেশে বিধাতার দান বুদ্ধিটাই কি যত অপরাধ Y S br