পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলে ! সে ছাড়া আর সব কিছুর জন্যেই পুজো মিলবে । এই তো গেল বাহিক, ভৌতিক— মানুষের আর একটা দিক যেটা তার আন্তরিক তার অাত্মিক— সেইখানে তার পাপ পুণ্য । সেই সব রিপুকেই আমরা পাপ বলি যাতে করে বিশ্বাত্মার সঙ্গে আমাদের জীবাত্মার সম্বন্ধ বিকৃত হয়। কাম ক্রোধ লোভ মোহ প্রভৃতি রিপুর দ্বারা আমরা নিজের অহংসীমার মধ্যে বদ্ধ হই । আত্মা তাতে আপন ধৰ্ম্ম থেকে ভ্ৰষ্ট হয় । কেননা আত্মার ধৰ্ম্মই হচ্চে নিজের সত্যকে সকলের মধ্যে উপলব্ধি করা । ভৌতিক জগতে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি যেমন বিশ্বশক্তির সঙ্গে আমাদের শক্তিকে যোগযুক্ত করে, বিশ্বনিয়মের দ্বারা আমাদের সকল কৰ্ম্মকে নিয়মিত করে, খেয়ালের দ্বারা নয়, অন্ধ সংস্কারের দ্বারা নয়— তেমনি আমাদের অন্তরাত্মায় যে কল্যাণবৃত্তি আছে সে করুণার দ্বারা মৈত্রীর দ্বারা বিশুদ্ধ জ্ঞানসম্মত লোকহিতৈষিতার দ্বারা আপনাকে সকলের মধ্যে উপলব্ধি করে। স্বার্থ তখন পরমার্থে উত্তীর্ণ হয়— অর্থাৎ তখন সকলের হিতে নিজের হিত জানি । যে শুভবুদ্ধির দ্বারা বিশ্বাত্মার সঙ্গে যোগসাধন হয়, উপনিষদে তারই জন্যে প্রার্থনা আছে— বিচৈতি চান্তে বিশ্বমাদে স দেবঃ— বিশ্বের আদিতে ও অন্তে যিনি পরিব্যাপ্ত তিনিই দেবতা,– স নো বুদ্ধ্যা শুভয় সংযুনত্ত— তিনি আমাদেরকে শুভবুদ্ধির দ্বারা যোগযুক্ত করুন। অশুভবুদ্ধি আমাদের অহংকে আশ্রয় করে— সে যে-সমস্ত পাপ ঘটায় সে তো গায়ে লেগে থাকে না, বাইরের অনুষ্ঠানে তাকে তাড়াবার কথা যখন মনে করি তখন গ্রহ মানি, পাগু মানি, পুরুৎ মানি, > S >