পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•C & দাৰ্জিলিং । ১৫ নভেম্বর ১৯৩১ \ર્ડ কল্যাণীয়াসু আমার চিঠি বোধ হয় যথাসময়ে তোমার পৌছয় না কেননা এখনো যে আমি দাৰ্জিলিঙে অাছি সে খবরটা তোমার কাছে যেন ঝাপসা হয়ে অাছে। এতদিন পরে এখানকার মেয়াদ ফুরোলো— আজ রওনা হয়ে কাল সোমবার প্রাতে কলকাতায় পৌছব । ছ তিনদিনের বেশি থাকা সম্ভব হবে না। — লিখেচ সন্ধ্যাসঙ্গীত প্রভাতসঙ্গীত ছবি ও গান পড়চ । অঙ্কুর যদিও উদ্ভিদ জাতীয় তবু তাকে গাছ বলা চলে না, ঐ লেখাগুলিও তেমনি কাকূতি কিন্তু কাব্য নয়। ওতে এই অতি সহজ কথাটার প্রমাণ হয় যে এক সময়ে আমি বালক ছিলুম। অমৃতং বালভাষিতং বলে একটা কথা আছে— কিন্তু সময় উত্তীর্ণ হলে সেই বালভাষিতকে কেউ রক্ষা করে না— করলেও সেই অমৃত ভদ্র লোকের পাতে দেবার যোগ্য থাকে না। ছবি ও গানে তুমি আমার ভাঙা ছন্দ দেখে হেসেচ– ভেবেচ ছেলেরা হাটতে গিয়ে যেমন পড়ে, ওর ছন্দঃপতনও তেমনি । ঠিক তা নয়— অামি আজন্মকাল বিদ্রোহী— বালকবয়সেও স্পৰ্দ্ধার সঙ্গে বাধা ছন্দের শাসন অস্বীকার করেই কবি-লীলা সুরু করেচি– বাধনে ধরা দিতে আপত্তি করি নে যদি ধরা না দেবারও স্বাধীনতা থাকে। ঘরে বাস করতে হয় বলেই যদি বাগানে বেরোলেই লোকে চারদিক থেকে তেড়ে আসে তাহলে সেটা তো হোলো ১২৭