পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψυ & [ শাস্তিনিকেতন * } ১• ডিসেম্বর ১৯৩১ \ર્ક কল্যাণীয়াসু কাজের ঘূর্ণাপাকের টান অত্যন্ত বেড়ে উঠেচে। কিছু দিনের মতো এবার তলিয়ে যাব। চিঠিপত্র লেখা অসম্ভব হবে আগে থাকতে খবর দিয়ে রাখলুম। রাগ যদি করতেই হয় তবে কোনো একটা গ্রহের উপর কোরো, যে গ্রহ এমন করে আমাকে খাটিয়ে মারে । তোমাদের পাড়াতেই দেখচি রাগের একটা সংক্রামক রোগবীজ আছে । শ্রীপতিকে লক্ষ্য করে কিছু পরিহাস করেছিলুম, ভেবেছিলুম সেও ঈষৎ হাস্য করবে— কিন্তু তুমি লিখেচ তার মন বিগড়ে গেচে । এ ব্যাপারটাও দেখচি আর একটা কোনো গ্রহের দ্বারা সংঘটিত হয়েচে । সে গ্রহ বোধ করি আমার হাসি সইতে পারে না । শ্রীপতির চিঠিতে কলকাতা থেকে হঠাৎ তিরোভাবের অপরাধ আমি নিজে না নিয়ে মধুসূদনের উপর দোষারোপ করেছিলুম— নিশ্চয় বিশ্বাস ছিল মধুসূদন ঠাট্ট বোঝেন অতএব তিনি অবিচলিত থাকবেন— কিন্তু শ্ৰীপতির দ্বারা তার বিচলিত ভাবটা প্রকাশ হয়েচে । এবার থেকে মধুসূদনকে সামলিয়ে চলব— গম্ভীর হয়ে সাবধানে কথা কব । কিন্তু স্বভাব খারাপ, পণরক্ষা হবে না । রাজার হাতে রাজদণ্ড আছে সেটা নির্বিবচার বিভীষিকা হয়ে উঠলে তাকে ঠেকাবার জন্তে প্রজার হাতেও একটা ঢাল না רס צ ծlծ օ