পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপ্রকাশ পীড়িত হতে থাকবে। ভুবন ভরে অাছে সৌন্দৰ্য্যসুধা, জীবনের মূলে আছে অমৃতরস, নানা কৃত্রিমতার ধাক্কার মধ্যে পড়ে আমরা যা পেয়েছি তাকেই পাই নে । যিনি আপন সৃষ্টিতে আনন্দরূপ বিস্তার করেচেন তাকে সমস্ত মন দিয়ে বিশ্বাস করো ; কেন কেবলি ভাব তিনি জেলখানার কৰ্ত্তা, তার অর্ডিনান্সের কালে উদি-পরা পেয়াদাগুলো তোমার খুৎ ধরবার জন্তে কেবলি উকিঝু কি মেরে বেড়াচ্চে । যে দেবতার রাজত্বে এত ভয়, এত সংশয়, যিনি মানুষের আত্মপীড়ন দিয়েই নিজের ট্যাকসো আদায় করেন, যিনি ভোজের পূরে আয়োজন সামনে রেখে পিছন থেকে সেটা হরণ করতে কথায় কথায় শাস্ত্রবুলির দোহাই দিয়ে হাত বাড়ান তার সম্বন্ধে আনসিভিল ডিসোবীডিয়ান্সই তো বিধি । পৃথিবী জুড়ে তার ভক্তদের হৃৎকম্প আর থামতে চায় না— তাদের এ রাস্তা বন্ধ, ও রাস্ত বন্ধ, এখানে অশুচিত, ওখানে নিষেধ। এমন জগতে হতভাগাদের হাতকড়া দিয়ে বেঁধে ক্ষণে ক্ষণে চাবুকের ব্যবস্থা করে স্মৃষ্টিকৰ্ত্তার এ কী নিষ্ঠুর খেলা ! ইংরাজের দেশে ধনী লোকেরা একটা করে অরণ্য নিজের অধিকারে রাখে সেখানে সেই সীমানার মধ্যে বন্যজন্তু ছাড়া থাকে— তাদের অrহার বিহারের বাধা নেই। সাধারণ লোকেরা তাদের শিকার করলে দণ্ড পায়, কারণ সেটা অবৈধ । কৰ্ত্তা তাদের স্বয়ং শিকার করবেন বলেই তাদের পালন করেন । আমরা কি সেই রকম শিকারের পশু । দেবতা অর্থহীন বিধিনিষেধে জর্জর করে মারলে দোষ নেই– অথচ সে রকম নিষ্ঠুরতা মানুষ যদি করে তবে সেটা অবৈধ হয় । তাই যখন দেবতার নামে মানুষ নিজেকে > 8 S