পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ১২ এপ্রিল ১৯৩১ শাস্তিনিকেতন \ર્ક কল্যাণীয়াসু আমাকে অনেকে ভুল বুঝে থাকেন, তুমিও বোধ হয় ভুল বুঝেচ। প্রথম কথা, আমি মস্ত কেউ একজন নই। তাতে কিছু আসে যায় না । তোমরা যে কেউ আমাকে যা মনে কর তার সঙ্গেই আমার কিছু না কিছু মিশ খেয়ে যায়। তার কারণ, কিশোর বয়স থেকে আমার মনকে নানাখানা করে আমি নানা কথাই বলেচি– এ ছাড়া আমার আর কোনো কাজ নেই। আমার উপর যদি কেবল এক-সুরের ফরমাস থাকত তাহলে সহজে দিন কেটে যেত। যেই কোনো সমজদার আমাকে চিনে নিয়েচে বলে হাফ ছাড়ে অমনি উলটো তরফের কথাটা বলে বসি, লোকে সহ্য করতে পারে না । আমি নিরগুণ নিরঞ্জন নির্বিবশেষের সাধক এমন একটা আভাস তোমার চিঠিতে পাওয়া গেল। কোনো একদিক থেকে সেটা হয় তো সত্য হতেও পারে— যেখানে সমস্তই শূন্ত সেখানেও সমস্তই পূর্ণ-যিনি তিনি আছেন এটাও উপলব্ধি না করব কেন ? আবার এর উল্টো কথাটাও আমারি মনের কথা । যেখানে সব-কিছু অাছে সেখানেই সবার অতীত সব হয়ে বিরাজ করেন এটাও যদি না জানি তাহলে সেও বিষম ফাকি । আজ এই প্রৌঢ় বসন্তের হাওয়ায় বেলফুলের গন্ধসিঞ্চিত প্রভাতের আকাশে একটা রামকেলী রাগিণীর গান থাকে ૨