পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের লোকের অন্তরে যে তামসিকতা যে মলিনতা আছে তীর্থে তাই ব্যক্ত না হয়ে থাকতে পারে না । আমরা সংস্কার মানি সত্যকে মানিনে বলেই সৰ্ব্বত্র এত বাহা অাচার এবং আন্তরিক নোংরামি । আমাদের পৌরুষহীন কৰ্ম্মহীন ভাবরসাবেশে সৰ্ব্বদা বাম্পাচ্ছন্ন ভক্তি কেবল আপনার ভাববিলাসিতাপরিতৃপ্তির জন্যে নিজেকে বিহবল করেছে, সে মানুষকে চেয়ে দেখে না, ঠেকিয়ে রাখে ; মানুষের মূঢ়তা মলিনতা দূর করবে কি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে অ শ্রীবর্ষণ করে । নিজের শুচিতারক্ষার আগ্রহে তারা যদি মানুষকে দূরে রাখে তবে সেই সব মানুষের কলঙ্কগুলো জমে উঠবে না কেন ? যখন তা চোখে পড়ে তখন তারা নিজের পবিত্রতাবোধের খাতিরেই নাসাকুঞ্চন করে কিন্তু সেই সব মানুষের পরিত্রাণের কথা ভাবে কি ? অামার তার সময় নেই । ইতি ৪ অগষ্ট ১৯৩১ দাদ! To o ৫ আগষ্ট ১৯৩২ ] દ્વે কল্যাণীয়াসু কিছু মনে কোরো না । আমরা কবির খামখেয়ালি মেজাজের মানুষ— হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠি কিন্তু সেটা অত্যন্ত অস্থায়ী । তোমাকে দুঃখ দিয়েছি সেটা আমার একটুও ভালে ) や ○