পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ম্মমভাবে সহজ হয়েচে সেটা হয়তো আমার পক্ষে গৌরবেরই বিষয়। আমি সত্যরক্ষার দিকে দৃষ্টি করেচি লোকের মনরক্ষার দিকে নয় । বিধাতা আমাকে যত প্রশ্রয় দিয়েচেন এমন অতি অল্প লোককেই দিয়েচেন, অতএব আমার পক্ষে নালিশ শোভা পায় না ; এসব কথার আলোচনা ভালো নয়, এতে আত্মলাঘব ঘটে । আমাকে তুমি যদি সৰ্ব্বদা জানবার অবকাশ পেতে তাহলে আমাকে কঠোরগম্ভীর মানুষ বলে ভয় করতে না, এবং পাছে আমি কিছু মনে করি বলে এত বেশি সাবধান হতে না। অামাকে দূর থেকে নানা লোকে নানা রকম মনে করে নেয়, তার একটা কারণ, অামার নানা অংশকে মিলিয়ে সমগ্র করে দেখবার অবকাশ সকলের ঘটে না । আর যাই হোক আমি ভয়ঙ্কর নই। ইতি ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ দাদা কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠি পড়ে বিস্মিত হলুম। এত অত্যন্ত উদ্বেজিত হবার কী কারণ ঘটেচে বুঝতে পারলুম না । তোমার সম্বন্ধে কোনো কঠোরতা কোনো নিষেধ আমার মনে নেই, আমার ভাষায় কি করে তা প্রকাশ পেতে পারে ভেবে পাচ্চি নে । Տ ծԵ,