পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজের খোটা দিয়ে থাকে, বাঙালীর মধ্যে জন্মেছি বলে আমার এই তুর্ভাগ্য । তুমিও খোটা দিতে যদি সুখ পাও তাতে ক্ষতি নেই, কিন্তু তবুও মনের মধ্যে এইটুকু সংশয় রেখো যে, সব খবর হয় তো তোমার জানা নেই, এবং জানবার সম্ভাবনামাত্র নেই। বস্তুতই আমি তোমার অপরিচিত অতএব বিচার করবে কেমন করে— কিন্তু তাই বলেই যে অবিচার করবে সেটা কেবল আমার সম্বন্ধে কেন কারো সম্বন্ধেই ভালো নয় । তোমার সঙ্গে অামার মতের অনৈক্য হওয়াকে যদি অপরাধ বলে গণ্য করে। তবে সেই সূত্রে আমার প্রতি কাল্পনিক অপরাধ আরোপ করা স্যায়সঙ্গত হবে না । মহাত্মাজি সম্বন্ধেও তুমি কিছুই জানো না, আমি ঘনিষ্ঠভাবে জানি— তিনি আমাদের চেয়ে অনেক বড়ো । তোমার সঙ্গে কোনো কোনো বিষয়ে তার মতের মিল নেই বলেই তার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা শ্রদ্ধেয় নয় । এ ক্ষেত্রেও তোমাকে বলি মনকে এই বলে নম্র কোরো, “আমি হয় তো তাকে জানি নে, জানা আমার সাধ্যের মধ্যে নয়, অতএব নীরব থাকব ।” আর আমি কৈফিয়ৎ দেব না । তোমার মন উদ্বেজিত হয়েছে, এ অবস্থায় বাদপ্রতিবাদে সুফল ফলে না। আমারও অবকাশের একান্ত অভাব । অতএব তর্কবিতর্ক না করে সম্পূর্ণ নীরব হওয়াই নিরাপদ । ইতি ১ অক্টোবর ১৯৩১ দাদী እ» ጫ ©