পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধারণকে বাদ দিয়ে ইংরেজিশিক্ষিত এবং ইংরেজ কর্তৃপক্ষের যুগলমিলন ঘটিয়ে তাই নিয়ে কনগ্রেসের মঞ্চের উপর স্বেদ কম্প পুলক প্রভৃতি দশ দশার শাস্ত্রবিহিত লক্ষণ প্রকাশ করতে পারতুম, তাহলে তখনকার দিনে উচু চৌকিই পেতুম। সে সুযোগ গেল। কিন্তু আমার সেদিনকার কথার টুকরো নিয়ে পরবত্তী অনেক দেশাত্মবোধী তাদের বাণীরূপে ব্যবহার করেছেন এবং দেশে ধন্য হয়েছেন। বেঁচে থাকতে থাকতে এও দেখেচি । তার পর যখন জালিয়ানবাগ ব্যাপারে আমি ছাড়া আর সকলেই নীরব ছিলেন,– দেশবন্ধু এবং মহাত্মাজিও— সে ঘটনাটাকে তামার সম্বন্ধে বিচার করবার হিসেব থেকে দেশের লোক বর্জন করে বসে আছেন— বহুকাল থেকে এ কথা বলতে তারা কুষ্ঠিত হয় নি যে দেশের সুখ দুঃখ সম্বন্ধে উদাসীন থেকে আমি কেবল বিদেশের সঙ্গে সখ্যস্থাপনের জন্তে ব্যস্ত । তারা জানে অথৰা জেনেও জানে না যে বিদেশের জনসভায় বিদেশী সভ্যতা সম্বন্ধে আমি যা বলে থাকি তা একেবারেই শ্রুতিসুখকর নয় । দেশের যথার্থ কাজ বলতে আমি যা বুঝি তার জন্যে আমি নিজের প্রায় সৰ্ব্বস্বাস্ত করেছি, কিন্তু যেহেতু দশজনের ফরমাসমতো সে কাজ গড়া হয় নি, দেশাত্মবোধীরা কেউ তার ত্রিসীমানায় না এসেও দূর থেকে নিরন্তর তাকে নিন্দ করেছে অবজ্ঞা করেছে, বাধা দিয়েচে । তবুও আমার উপায় নেই। তাদের ছাচে ঢালাইকরা পুতুল বিক্রি করে বাজারে নাম করতে ইচ্ছা থাকলেও সেটা আমার সাধ্যের অতীত। অতএব শেষ দিন পৰ্য্যন্ত আমার কাজ আমাকে করতেই হবে । সাহিত্যে আজও >b ○