পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার থেকে কিছু সংগ্রহ করেছে। এ কথা শুনে মনে হয়েছে আমার রচনার সাধনা সার্থক হোলো । সেই সঙ্গে এও ভেবেছি যে-ভাষায় দেশের লোককে কিছু পথ্য দিতে পারতুম সে ভাষা এবং উপযুক্ত ভঙ্গ আমার জানা নেই। মূককে বাচাল করে এমন শক্তি আছে, আবার বাচালকে মূক করে এমন বাধা আছে। আমার অনেক বাক্য আমার দেশে মূক হয়ে আছে আমার যেক্ষমতার অভাবে তার উপরে কি রাগ করা চলবে, সে কি আমার ইচ্ছাকৃত । তুমি অনেকবার আমাকে বলেচ, “তোমার নিজের মতো কথা না বলে আমাদের মতো কথা বলে। তাহলে অাদর পাবে।” চেষ্টা করতে গেলে আমার কথাও নষ্ট হোতো তোমাদের কথাও । অতএব এ যাত্রায় বেশি আশা করব না । তোমার অন্তর যে শান্তি যে সাস্তুনা চায় আমি কেমন করে তা দিতে পারি ? মনে বেদনা পাই, রোগী আত্মীয়কে দেখে আত্মীয় যেমন বেদনা পায়, কিন্তু হাতুড়ে হয়ে ডাক্তারি করব কোন সাহসে ? তাই তোমাকে বলি আমার স্নেহ যদি গ্রহণযোগ্য হয় তো গ্রহণ কোরো কিন্তু শিক্ষা যদি চাও তবে মূক আমি – তোমার নিজের মধ্যেই কল্পনাশক্তি আছে। যে গুরুকে ভৌতিকরাজ্য থেকে হারিয়েছ সেই গুরুকেই ভাবের রাজ্যে অমর করে পাবে, সেইখানেই তোমার শান্তি । তর্ক করে কি কখনো শাস্তি দেওয়া যায় ? ইতি ২৮ কাৰ্ত্তিক ১৩৩৯ দাদা Σ' ώ δ