পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y e & ২৩ নভেম্বর ১৯৩২ હૈં কল্যাণীয়াসু যে অনুভূতির মধ্যে কোনো একদিন তোমার আত্মা মগ্ন হয়েছিল, পরম আনন্দ পেয়েছিল, তার স্মৃতির প্রতি তোমার অশ্রদ্ধা জন্মাতে ইচ্ছাও করি নে। অহঙ্কারের যে বন্ধনে আমরা নিজের ছোটো গণ্ডীর মধ্যে বদ্ধ থেকে সংসারের প্রত্যেক তুচ্ছ জিনিষকে বড়ো করে তুলি, মানুষের স্তুতি নিন্দাকে একান্ত সত্য বলে কল্পনা করি তার থেকে যা তোমাকে নিস্কৃতি দিতে পারে তাই তোমার পক্ষে শ্রেয়। অনেক সময় সংসার থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে নিজেকে ভোলাই যে নিস্কৃতি পেয়েছি। সেই প্রমাদ যেন না ঘটে। সংসারের জাল থেকে মুক্তি পেয়েছি তার একমাত্র প্রমাণ হতে পারে সংসারেই । বুদ্ধদেব যখন নিৰ্ব্বাণের পথে উপদেশ দিয়েছিলেন তখন তিনি তার সত্যকে নির্দেশ করেছিলেন বিশ্বপ্রেমে ৷ চরম সত্য যদি থাকেন সকলকে ব্যাপ্ত করে, তবে তাকে পাবার পন্থা সকলকে ত্যাগ করে নয় । সেই সত্যে যথার্থই অগ্রসর হয়েছি কিনা একদিকে তার প্রমাণ মন থেকে কলুষ কেটে যেতে থাকে যদি । আর দিকে প্রমাণ সকলের প্রতি প্রেম পূর্ণ হয়ে উঠল কিনা। কলুষ কেটে যদি থাকে তার প্রমাণ এই সংসারেই । আর প্রেম অহঙ্কারের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ হয়ে উঠেছে তারও প্রমাণ এই সংসারে । কেননা মানুষের মধ্যে হাজার রকম বাধা আছে বলেই সেই ১৯২