পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাধা এবং তার কঠোর আঘাতকে অতিক্রম করতে পারলেই প্রেমের সার্থকতা । এই প্রেমের আনুষঙ্গিক যে সেবা সংসারেই তার বিশুদ্ধিতা প্রমাণ হয় শুধু তাই নয় সেই সেবায় ংসারেরই প্রয়োজন দেবতার নয়। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেচেন দরিদ্রান ভর কৌন্তেয় মা প্রয়চ্ছেশ্বরে ধনং— দেবতা তো দরিদ্র নন, দরিদ্র যে মানুষ মানুষকে সত্য বস্তু দিতে পারলেই দেবতা স্বয়ং তা অাদরে গ্রহণ করেন । তাই তোমাকে আমি বলি যেসাধনায় তোমার চিত্তের পরিতৃপ্তি তাই তুমি একান্ত নিষ্ঠায় অনুসরণ কর— কিন্তু সেই সাধনার সার্থকতা যদি মানুষকে না দিতে পারো তাহলে তুমি যাই কল্পনা করো না দেবতা তা গ্রহণ করেন না । পৃথিবীতে মহাপুরুষ যে কেউ জন্মেছেন মানুষের কাছ থেকে দেবতা তাদের কেড়ে নেন নি—— মানুষের কাছেই দেবতা তাদের প্রেরণ করেছেন । দেবতা আপন ভক্তকে পাঠান মানুষের কাছে। তাকে ভক্তি করেই ভক্তি ফুরিয়ে যায় না, সেই ভক্তি সত্য যদি হয় তবে তা প্রেমে তাফুরান হয়ে মানুষের সংসারে দেবতার কৃপা নিয়ে আসে । তা যদি না হয় তাহলে দেবতাকে নিন্দ করব কৃপণ বলে । তিনি মামুষের ধনকে একলা নিজেই ভোগ করবেন মানুষকে কিছুই দেবেন না এতে তো তার ঐশ্বৰ্য্য প্রেমাণ হয় না । অামাদের কৃপণতা দেবতায় অারোপ করে তাকে ছোটো করি কেন ? ইতি ৭ অগ্রহায়ণ ১৩৩৯ দাদ ! 〉 > ○