পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আন্তরিক অভিনন্দন অনায়াসেই পৌছয় আমার অন্তরে। তার মূল্য তো কোনো প্রত্যক্ষ সামগ্রীর চেয়ে কম নয়। আমার জন্যে রঙীন মাটির হাড়ি আর শিকে কিনে রেখেচ । কাজে লাগবে । একদা আমার ঘরে কড়ি থেকে শিকেয় বদ্ধ হাড়ি আমার ডেস্কের উপর ঝোলানো থাকত— তার মধ্যে থাকত কালী কলম ইত্যাদি লেখ্যসামগ্রী । সন্দেশ যদি দাও আগে তার যথোচিত সৎকার করে তার পরে তাকে সাহিত্যিক ব্যবহারে লাগাবার চেষ্ট দেখতে পারি | এখানে বাজারে ফুলকফি যথেষ্ট আছে, কমলানেবুর আমদানি এখনো সুরু হয় নি— চেষ্টা করলে আম পাওয়া যায়। কিন্তু এ বৎসর দৈবকুর্য্যোগে আমবাগানের উপর অত্যাচার হয়ে গেছে, তাই ফলাহারের আশী সঙ্কীর্ণ। এখানে শাকসবজির অভাব নেই। এ বৎসরটা এখানে শীতটা আশাতীত, মাঝে মাঝে শিলবৃষ্টির সহায়তায় তার স্পৰ্দ্ধ বেড়ে উঠচে ; রৌদ্র বিরলদর্শন, ঘন সজল মেঘে আস্তীর্ণ আকাশের প্রাঙ্গণ । ১৫শে বৈশাখে সব প্রথমে সৌরভী ফুলের গুচ্ছ পেয়েছিলুম ইংরেজিতে যাকে বলে “সুইট্‌ পীজ ”, সেটাকে যদি তোমার দান বলে স্বীকার করে তবে আমিও তাই স্বীকার করে নেবো । অনেক পত্র উত্তর প্রত্যাশায় জমা হয়ে রয়েচে । তার মধ্যে একটা আছে তোমার কচির । অতএব এই উপলক্ষ্যে বাসন্তীকে আশীৰ্ব্বাদ করে ছুটি নিলেম । ইতি ৩০ বৈশাখ ১৩৪০ দাদা