পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি তাতে লজ্জ পাই । অতএব সজনীকান্ত সম্বন্ধে কোনো সঙ্কোচ কোরো না— তার সঙ্গে তোমাদের যে সম্বন্ধ হয়েচে সেটা রক্ষণ কোরো তাতে আমি কোনোই অপরাধ নেব না । সজনীর চেয়ে অনেক বড়ে বড়ো লোক আমাকে নিরন্তর আঘাত করেচে– যথ! দ্বিজু রায়, চিত্তরঞ্জন, সুরেশ সমাজপতি— তারা যে আমার চেয়ে হিন্দুসমাজের দরদ বেশি বঁচিয়ে চলত তা নয়, তাদের আহার বিহারের খবর সকলেরই জানা আছে— সজনীও নিজের আচারে হিন্দুসমাজের মান রক্ষা করে চলে তারও কোনো প্রমাণ নেই । অতএব এই কথাটা মানতে হবে যে অহৈতুক অনুরাগের মতোই অহৈতুক বিদ্বেষও আছে— ওটা প্রকৃতিসিদ্ধ । আমি কোনোদিন এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করি নি— এবং ভোলবারই চেষ্টা করেছি। তোমার উপরে রাগ করেচি এই আশঙ্কা সকলের চেয়ে অসঙ্গত। যখন এই সংশয় মনে এল যে আমার দান তুমি অনাদরে বর্জন করেচ তখন ক্ষণকালের জন্তে বিস্ময়ের ব্যথা অনুভব করেছি। যদি ব্যাপারটা সত্যই হোত তাহলে মনে করতুম, তুমি নিরাসক্ত,— সঞ্চয় করতে চাও না কিছুই। তাতেই বা দোষ কী । আজ এসেছি কলকাতায় । ক্লান্ত । ও দিকে অমিয় অসুস্থ হয়ে দূরে আছে। কাজের বোঝা একা আমারই ঘাড়ে। চিঠিপত্র লেখার সম্বন্ধে এবার সম্পূর্ণ হাল ছেড়ে দেবার সময় এলো । মাঝিকে তো প্রায়ই ডেকে বলি– “তোর বৈঠা নে রে, আমি আর বাইতে পারলাম না ।” চেচিয়ে গলা ভাঙল— 良°●