পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У & Э ১১ অক্টোবর ১৯৩৩ কল্যাণীয়াসু আমি তো মৃত্তিকাবিলাসী মাটির পৌত্তলিক নই। মৰ্ত্ত্যের মধ্যেই অতিমৰ্ত্ত্যকে যদি না উপলব্ধি করত্নম তাহলে গৰ্ত্তবাসী কীটবৃত্তি করে কি বাচতুম ? জগৎ অসম্পূর্ণ, তাই বলেই কি কল্পনার আশ্রয় নিয়ে সাস্তুনা পেতে হবে ? বীণাটার তার ঠিকমতো বাধা হয় নি, তাই বলেই কি নারদের বীণার ধ্যান করতে হবে ? যারা তাই করে তারা সুর বঁাধবার দায়িত্ব নেয় ন। এই মৰ্ত্ত্যবীণাতেই শুদ্ধমুরের আদর্শ আছে সেই জন্যেই এত মহাপুরুষ প্রাণ দিয়ে সুর বাধতে লেগেছেন— যথার্থ আনন্দ তাতেই। বৈকুণ্ঠপুরী যদি সত্যই কোথাও থাকে তাহলে সেখানে মৰ্ত্তোর মানুষ টিকতে পারে না। এই পৃথিবীর মাটি নিয়েই আমাদের নিজের বৈকুণ্ঠ নিজেকেই সৃষ্টি করতে হবে । সেই জন্যেই মানবসংসারে দ্বৈত আছে— যেমন আছে অপূর্ণত তেমনিই আছে পূর্ণতার আদর্শ। নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ এই বস্তুগত জগতেই আত্মিক শ্রেষ্ঠতা নিজের শক্তির দ্বারাই জয় করে নিতে হবে— পাণ্ডার শরণ নিয়ে স্বৰ্গপ্রাপ্তির আশা করব না। বীরভোগ্য বসুন্ধরা নয় বীরযোগ্য বসুন্ধর । এই বসুন্ধরাকে নিজের বীর্য্য দিয়েই উদ্ধার করতে হবে । তোমরা আল্পনা কেটে লক্ষ্মীকে ডাকো লক্ষ্মী আসেন না— যারা বীৰ্য্যের সহায়ে লক্ষ্মীকে আহবান করেন আজকের পৃথিবীতে র্তারাই তো লক্ষ্মীকে পান।— SS (t