পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} \53 [ শাস্তিনিকেতন ] ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪ কল্যাণীয়াসু কলকাতায় যেতে বোধ করি আরো কিছুকাল দেরি হবে । পনেরোই মাঘ নাগাদ সেখানে আমার যাবার সম্ভাবনা । গেলবার কলকাতায় থাকতে তোমরা আমাকে মিষ্টাম্নের ডালি পাঠিয়েছিলে। তার প্রাপ্তিসংবাদ দিতে কেন ভুল হোলো সে কথাটা খুলে বলি। যেদিন উপহার পাওয়া গেল তার পরদিনেই আমার বোলপুরযাত্র ছিল স্থির। তাই সেই ভোজ্যগুলি পূর্বেই পাঠিয়ে দিয়ে বসেছিলুম। ইতিমধ্যে সংবাদ পাওয়া গেল অনেকগুলি পরদেশিনী মেয়ে সেই ট্রেনেই চলেচেন শান্তিনিকেতন দেখতে । এরা ভারতের নানা প্রদেশ থেকে এসেছিলেন নিখিলভারত নারীসম্মেলন সভায় । অামার তখন মন ক্লান্ত ছিল তাই ভয় পেয়ে গিয়ে যাত্রা পিছিয়ে দিলুম। আমার মিষ্টালাপের পরিবৰ্ত্তে মিষ্টান্নগুলি সেই অতিথিদের ভোগে লেগেছিল। শুনেছি তারা পরম পরিতৃপ্তির সঙ্গেই সেগুলি নিঃশেষে সমাধা করেচেন। এই পুণ্যের ভাগী কে হবে সে প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। র্তাদের প্রতি এ আমার ইচ্ছাকৃত আতিথ্য ছিল না, তাদের প্রতি তোমারও এ ইচ্ছাকৃত দান নয়। যা হোক এখন অন্তত নিজের মনের লোভ ও দাবী দূর করে দিয়ে তাদের ভুক্ত দ্রব্য মনে মনে তাদেরই কাছে উৎসর্গ করি। তোমার পুণ্য এই, তুমি অজ্ঞানত আমার অতিথিসেবায় সহায়তা SS br