পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন নিষ্ঠুর শাশুড়ীর পীড়নে অবসন্ন নববধূর মতে ওর পরিচয় ক্লিষ্ট হয়ে যথার্থ আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না । বসন্তের প্রথম সমাগমের আমন্ত্রণে এই ফুল অামার বাগানে গাছ ভরে ফুটে উঠেছে— এর কচি পাতাগুলি সি দূরে বরণ, তারি স্তরে স্তরে সোনার রঙের অজস্র ফুল যেন বসন্তের বীণায় বাহার রাগিণীর ঝঙ্কার লাগিয়েছে, বাতাসে দিয়েছে সুগন্ধের মীড় । এই সময়টাতেই আর এক জাতের শাদা ফুল গোল গোল মঞ্জরীতে শাখার গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। এখানকার লোকের কাছে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে বলে বুনো ফুল নাম জানা নেই। আমরা সেই অনাদৃত জঙ্গল থেকে আনিয়ে কিছুকাল আগে বাগানে লাগিয়েছিলুম এখন তার পুরস্কার পাচি । সৌন্দর্য্যে ও সেগন্ধ্যে বহুদূর পর্য্যন্ত কৃতজ্ঞতা বিস্তার করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি বনপুলক । এর গুচ্ছ কতকটা রঙন ফুলের মতো, কিন্তু এ অন্য জাতের— এর গন্ধ কোমল অথচ ব্যাপক । এরা বসন্তের প্রথম দূতী, ঋতুরাজের আগমন ঘোষণা করেই রঙ্গভূমি ত্যাগ করে নেপথ্যে চলে যায় । এরা যেন নাটকের নান্দীর মতো– হটি একটি শ্লোকেই কাজ সেরে এর বিদায় গ্রহণ করে । এদের আর একটি সহচরী অাছে, সে মাধবী । দেখা দেয় শাখায় শাখায় মঞ্জরিত হয়ে, বেশি দিন থাকে না, বধু যেন শ্বশুর বাড়িতে এসেই বাপের বাড়িতে ফেরবার জন্যে উতলা হয়ে ওঠে । অার একটি ফুল শীত ফুরোতে না ফুরোতে আমার বাগানে দেখা দিয়েছে, সে কাঞ্চন । তার প্ৰগলভতার অস্ত নেই, সমস্ত গাছ যেন মুখরিত করে সে খিল S う8