পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে নিজেকে মুক্তি দেবার অধ্যবসায়কে উদবুদ্ধ করবে কোন বুদ্ধিতে ? আপনার লোককে যারা বেঁধেছে পরের হাতের বাধন তাদের খুলবে না। থাকগে ওসব তর্ক। আপাতত নিজের শরীরটাকে সুস্থ করে তোলবার সাধনা সম্পূর্ণ মন দিয়ে গ্রহণ কোরো । যে শরীরটাকে অযাচিত দানরূপে পেয়েছ সেটার সম্বন্ধে সৃষ্টিকৰ্ত্তার কাছে তোমার দায়িত্ব আছে । তোমার পত্রোত্তরে অামার শেষ বক্তব্য এই যে, খ্যাতি অর্জন করবার জন্তে কোনো দিন আমি কোনো রকম উদ্যোগ করি নি । জয়ন্তী প্রভূতি ব্যাপারে অামি আশরাম বোধ করি নি এ কথা নিশ্চিত জেনে । আমি জনতার সমাদর কেবলি এড়িয়ে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি বলেই আমি জনপ্রিয় হতে পারি নে । মানুষকে খুসি করতে পেরেচি এবং তারা আমাকে খুসি করতে চায় এর প্রমাণ পেলে নিঃসন্দেহ আমার আনন্দ হয় । কিন্তু সেটা চেষ্টাকৃত যদি হয় যদি অকৃত্রিম না হয় তবে তার চেয়ে বিতৃষ্ণাজনক কিছু হতে পারে না । কবির সত্যকার দণ্ড পুরস্কার কালের হাতে । মৃত্যর ওপার পর্য্যন্ত তার জন্যে সবুর করতে হয়—— অসময়ে সেটাকে ছিনিয়ে নেবার মতো বেহায়াগিরি অার কিছু নেই। বিধাতার দান অমনিই অনেক পেয়েছি, আরো নাই বা পেলুম । ইতি ১১ বৈশাখ ১৩৪১ लील 及8@