পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার কোনো একটা পত্রে জনশ্রুতির কথা লিখেচ যে, আমি সীতার নিন্দ করেচি। এমন অদ্ভুত অপবাদ বাংলা দেশেই সম্ভব । “ঘরে বাইরে” উপন্যাসে সঞ্জীব সিন্দীপ বলে একটা মানুষ খাড়া করেছিলুম তার চরিত্রে ভদ্রতার আদর্শ নেই। সীতার সম্বন্ধে সে যদি এমন কিছু বলে থাকে যা সীতার পক্ষে সম্মানকর নয় তাহলে সেটাকে রবীন্দ্রনাথের বাণী বলা মূঢ়তা। দ্রৌপদীকে কীচক নিঃসন্দেহ অপমান করেছিল, দুঃশাসন সভাস্থলে তার বস্ত্রহরণের চেষ্টা করেছিল এ কথাও মহাভারতে পড়েছি, বেদব্যাসকে সে জন্তে বাঙালী সমালোচকও নিন্দ করে নি, আমার বেলাতেই তাদের বুদ্ধি যে যায় বিগড়ে তার কারণ তুমি জিজ্ঞাসা কোরো অামার জন্মনক্ষত্রকে । আমার বাঙালী জন্ম প্রায় শেষ করে এনেচি, আজ আমার ক্লান্ত আয়ুর অস্তিম নিবেদন এই যে, যদি জন্মান্তর থাকে তবে যেন বাংলা দেশে আমার জন্ম না হয়— এই পুণ্যভূমিতে পুণ্যবানেরাই জন্মে জন্মে লীলা করতে থাকুন— আমি ব্রাত্য, আমার গতি হোক সেই দেশে যেখানে আচার শাস্ত্রসম্মত নয় কিন্তু বিচার ধৰ্ম্মসম্মত । সিংহলে লোকেরা আমাকে পেয়ে খুসি হয়েছিল। আনন্দ দিয়েছি আনন্দ পেয়েছি। কবির পুরস্কার এইটুকুই। বাসন্তীকে আমার আশীৰ্ব্বাদ জানিয়ো, বোলো অলিখিত পত্রোত্তরের জন্ত্যে তার কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি তাকে কিছুমাত্র যেন পীড়ন না করে । আমি জানি এই তার ত্রুটি ঔদাস্তবশত নয়, চিঠি লেখায় তার হাত পাকা হয় নি সেই সঙ্কোচেই । জীবনে অনেক চিঠি লিখেচি । কিন্তু আমার চিঠি লেখার শক্তি প্রায় বাসস্তীর কাছাকাছি এসে SAS " న 8 సె