পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 & cs 3 কলিকাতা «« چtچ به د কল্যাণীয়াসু কলকাতায় কাজে এসেছি । বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্ততার দায় ছিল— বিষয়টা “সাহিত্যের তাৎপর্য”। তোমার চিঠিতেও দেখি তুমি সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে কিছু আলোচনা করেছ। আমার লেখাটা যখন বের হবে তোমার মতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পারবে । সাহিত্য জিনিষটা বুদবুদ নয় অর্থাৎ শূন্যগর্ভ গোলকের উপর সূর্যরশ্মির সাত রঙের খেলামাত্র নয়। তেমনতরো বাক্যের বুদবুদ একেবারে হয় না তা বলতে পারি নে কিন্তু সেগুলোর দাম নেই। ভিতরটাতে হৃদয় থাকলে তবে তার নিবিড় আস্বাদ পাওয়া যায়। তোমার চিঠিতে যদি সাহিত্যরস থাকে তবে সেটা হৃদয়সম্পর্কশূন্ত নয় বলেই উপভোগ্য হয়ে থাকে । অাজ সন্ধ্যার দিকে মহাত্মাজির সঙ্গে দেখা করতে হবে । এই কৰ্ত্তব্যটা সমাধ। করেই কাল শান্তিনিকেতনে ফিরব । মহাত্মাজি বাংলাদেশের স্থায়ী ও মৰ্ম্মান্তিক অনিষ্ট করেচেন এই কারণে র্তাকে যথোচিত সমাদর করা বাঙালীর পক্ষে কঠিন হয়েচে— আমারও মন কুষ্ঠিত আছে। আমি বোধ হয় পাচ দশ মিনিটের মত স্থা চার কথা বলেই ছুটি নেব । শ্রাবণ এলো— বর্ষা এবার যথোচিত সমারোহে দেখা দিয়েছে । আগ্রমে গিয়ে বর্ষামঙ্গলের আয়োজন করতে হবে । কিন্তু মনের মধ্যে তেমন উৎসাহ বোধ করচি নে। জগৎ জুড়ে দুঃখ দারিদ্র্য নানা আকারেই দেখা দিয়েচে । এমন দেশ নেই S ?ツ