পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাত্র ভরিয়ে আনতে যাতে পিতা ফাকি না ধরতে পারেন । একদিন অস্তরের মধ্যে বুঝতে পেরেছিলুম, রসের সাধনার অনেকটাই সেই ফেনা, বাম্পোচ্ছাস— যার সামনে ধরি তাকেও ফাকি দিই, নিজেকেও । কৰ্ম্মের সাধনাতেও যথেষ্ট প্রবঞ্চনা চলে— অর্থাৎ তুধে ফেনা না মিশিয়ে জল মেশাবার পদ্ধতিও আছে-– এমন ব্যবসায়ে অনেকেই পসার জমিয়ে থাকেন। কৰ্ম্মের মধ্য দিয়ে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ভোলাবার প্রলোভন এসে পড়ে— ষোলো আনা খাটি হওয়া সহজ নয়— কিন্তু তবু মনে জানি ভেজাল বাদ দিয়েও যেটুকু বাকি থাকে সেটা উবে যাবার জিনিষ নয়। অন্তত আজ এটুকু বুঝেছি কৰ্ম্মের মধ্যে যে উপলব্ধি তাতে মনুষ্যত্বকে সম্মানিত করা হয়— তাতে বাইরে ব্যর্থতা ঘটলেও অস্তরে গৌরবহানি ঘটে না । ইতি ৮ বৈশাখ ১৩৩৮ শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (t لاه هډ talغfوى ما = હૈં শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তুমি আমাকে খুবই ভুল বুঝেছ তাই আমাকে লিখতে হোলো। অামি কখনো কাউকে আদেশ করিনে, তার কারণ অামি গুরু নই আমি কবি । তোমার সঙ্গে অামি কয়েকটা છે. આ