পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হার্য্য ! দোহাই তোমার আমার সন্তোষ কল্পনা করে সজনীকান্তের সঙ্গে তোমার সম্বন্ধের লেশমাত্র ব্যত্যয় ঘটতে দিয়ে না, যদি দাও তবে তাতেই তুমি আমাকে খাটো করবে। তোমাদের সমাজের দিক থেকে আমি ব্রাত্য, আমি একঘরে, আমি অস্পৃশ্য। এই বর্জন আমার জীবনে দেবতার বরের মতে কাজ করেছে, এতে মানুষের অভিশাপ যদি লাগে, তবে তাতে সাপের নিঃশ্বাস লাগবে মাত্র বিষ লাগবে না । যে বিধাত আমাকে পৃথক করে স্বষ্টি করেছেন তিনি আমার বন্ধু। এই সামাজিক অস্পৃশ্যতা পার হবার সময় কিছু পরিমাণ ঘুণ। মনে না নিয়ে আসতে পারে। না । সেটাকে অতিক্রম করেও যদি আমাকে শ্রদ্ধা করে থাক সেটা কম কথা নয়, কিন্তু সম্পূর্ণ তাতিক্রম করবে এমন অসম্ভব আবদার করব কোন দাবীতে । তুমি লিখেচ আমার কতকগুলো বইয়ের কতকগুলো কবিতা বাদ দিয়ে তোমার কোনো কোনো কবিতা ভালো লাগে । এ কথা বলবার কি কোনো প্রয়োজন আছে । আমার কবিতা বৃঝতে পারে না এমন পুরুষ ও মেয়ে সংসারে অনেক আছে তাদের আমি খুবই ভালোবাসি— আমি তাদের কবি নাই হলুম আমি তাদের প্রিয়জন । আমার কবিতার কথাটা তোমাদের মুখে একেবারেই অবাস্তর । তোমার মেয়ে হয়তো আমার কবিতার চেয়ে নজরুলের কবিতা ঢের বেশি পছন্দ করে সে কারণে আমি তাকে কিছুমাত্র কম স্নেহ করিনে । স্বদেশের বাইরে আমার জন্যে সুপ্রশস্ত ও স্থায়ী আসন আছে— যখন জীবলোক থেকে বিদায় নিয়ে যাব তখন অামার ভাগ্যবিধাতাকে অক্ষুন্ন প্রণাম নিবেদন করে যেতে পারব— তিনি રે 6 જે