পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিস্ফীত মেঘস্তুপে। উত্তাপ নেই, আন্দোলন আছে আমাদের দেশের মধ্যমপন্থী রাষ্ট্রনায়কদের নকল দেখা যাচ্চে আজ দেবসভায় । মেঘের গর্জন নেই বিদ্যুৎ নেই, কেবল অজস্র অবিশ্রান্ত ক্রন্দনের পাল । চাষীরা তাকিয়ে ছিল এই বৃষ্টির আশায় । কচি ধানগুলো শুকিয়ে আসছিল সেই সঙ্গে চাষীদের মুখ । মৰ্ত্ত্যলোকে ওদের অাছে মহাজন, আকাশে আছেন পর্জন্ত দেব, — উপরওয়ালা বর্ষণ না করলে নিচের ওয়ালাও বর্ষণ বন্ধ করে । আর ওরাই বহন করচে কৃষ্মের মতো আমাদের সবাইকে, জমিদারকে উকিলকে ডাক্তারকে পণ্ডিতমশায়কে । অথচ ওরাই অস্পৃশ্ব উপেক্ষিত অশিক্ষিত, অধিপেট, আধমরা । কাল সকালের গাড়িতে কলকাতায় যেতে হচ্চে । দিন চার পাচ রাজধানীতে কাটবে । ইতি ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ দাদা X & X { বরানগর } ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ હૈં কল্যাণীয়াসু কিছুকাল থেকে নিৰ্ব্বাসনে আছি । আমার শান্তিনিকেতনের নীড় ছেড়ে চলে এসেচি রাজধানীপাড়ায় । শরৎশ্রী সেখানে দেখা দিয়েছে তার সমস্ত ঐশ্বৰ্য্য নিয়ে । শিউলি ফুলে বিছিয়ে দিয়েচে বনতল— কচিধানের ক্ষেতের অালের কাছে বিকশিত হয়েছে কাশের গুচ্ছ, বৃষ্টিধৌত কাঞ্চনের চঞ্চল পাতা থেকে જ U છે br こ や ?