পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 0 a ১• ডিসেম্বর ১৯৩৪ \કં কল্যাণীয়াসু আমি আজন্ম ব্রাত্য । মৰ্ত্তধরণীর বুকের কাছে আমার বাসা — এখানকার মাটির ভাড়ে যে অমৃত পাই তাই আমার যথেষ্ট। পারত্রিকের ঠিকানা জানি নে, যারা সেখানকার বিবরণ জটিল ভাষায় বিস্তারিত করে বলতে আসে তাদের কথা বুঝতেও পারি নে বিশ্বাসও করি নে। সকল জাতির সকল শাস্ত্রই দৈবদত্ত নিখুৎ সত্যের অহঙ্কার করে অথচ তাদের পরস্পরের সম্বন্ধ আদায় কাচকলায়। মধ্য আফ্রিকার বর্বর্বরও তাদের নিরর্থক আচারকে ধৰ্ম্মের পদবী দিয়ে তার শুচিতার অভিমানে রোমাঞ্চিত, আমাদেরও সেই একই দশা। এই পরস্পর প্রতিযুধ্যমান শাস্ত্রকে আমি দূর থেকে নমস্কার করি— শ্রেয়োবোধের অনুমোদিত শুচিতাকেই পালন করতে আমার প্রয়াস,– যে বাহা আচার মানুষে মানুষে ভেদ ঘটিয়ে প্রাচীর তুলে বেড়ায় মানবপ্রেমকে, ঈশ্বরদত্ত বুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে শাস্ত্রের অক্ষর বঁাচাবার জন্তো খুনোখুনি করতেও অগ্রসর হয় তাকে বর্জন করে নাস্তিক অধাৰ্ম্মিক পদবী নিতে আমার কোনো সঙ্কোচ নেই । পাণ্ডার পা পূজো করে যে আত্মাবমাননা হয় তার দ্বারাও ভক্তির সার্থকতা ব্যাখ্যা করবার মতে শাস্ত্রিক সূক্ষ্ম তর্ক আমার বুদ্ধির অতীত। অতএব আমাকে ভিন্ন জাতের মানুষ বলেই জেনে, আমি তোমাদের ত্যাজ্য । অামার গতি হবে কোথায় সে জন্ত্যে C