পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিবাদ করে সেখানেও । আমার বুদ্ধি আমার কল্পনা আমার রসবোধ সবই আঘাত পায় । যদি বলো ভগবান যখন অসীম তখন সকল রূপেই সকল কাহিনীতেই তাকে খাপ খাওয়ায় । এক হিসাবে এ কথা সত্য— বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ভালো মন্দ সুগ্ৰী কুন্ত্রী সবই আছে অতএব কেবল ভালো কেবল সুন্দরের গণ্ডীর মধ্যে র্তাকে স্বতন্ত্র করে দেখলে তার অসীমতার উপর দোষারোপ করা হয়। ঠগীরা মানুষ খুন করাকে ধৰ্ম্মসাধনা বলে গ্রহণ করেছিল— ভগবান তো নানারকম করেই মানুষকে মারেন— সেই খুনী ভগবানকেই বা পূজা করতে দোষ কি ? কিন্তু আমার ভগবান মানুষের যা শ্রেষ্ঠ তাই নিয়ে । তিনি মানুষের স্বর্গেই বাস করেন। মানুষের নরকও আছে-- সেইখানে মূঢ়তা সেইখানে অত্যাচার সেইখানে অসত্য । সেই নরকও আছে কিন্তু সেই থাকাটা না-এর দিকে, হা-এর দিকে নয়। সে কেবলি হা-কে অস্বীকার করে কিন্তু কিছুতে তাকে বিলুপ্ত করতে পারে না। অস্বীকার করার দ্বারাই সে সেই চিরন্তন ওঁ-কে প্রমাণ করতে থাকে। এই জন্তোই, ভগবান অসীম বলেই তাকে সব কিছুতেই আরোপ করলে চলে এ কথা আমি মানতে রাজি নই। যেখানে জ্ঞানে ভাবে কৰ্ম্মে পরিপূর্ণ শ্রেষ্ঠত সেইখানেই তাকে উপলব্ধি না করলে ঠকতে হবে । কিন্তু তুমি যে করচ না একথা বলিনে— তোমার অভিজ্ঞতা আমার অভিজ্ঞতা নয় অতএব আমার পক্ষে কোনো উপদেশকে বেদবাক্য করে তোলবার স্পৰ্দ্ধা আমার নেই। এই কথাটুকু বোধ হয় বলা যায়, দুই রকম চিত্তবৃত্তি আছে– এক রকম মন X 8