পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মের মধ্যে যে আপন সার্থকতা সন্ধান করে । কৰ্ত্তব্যের পরিকল্পনা মনের মধ্যে যখন জেগে ওঠে তখন তাকে রূপ দেবার জন্যে মন আগ্রহাম্বিত হয়ে ওঠে । কিন্তু এ তো কাব্য মহাকাব্য লেখা নয়, ভাব নিয়ে শব্দ নিয়ে ছন্দ নিয়ে সাধনা নয়, বহুতর মানুষকে নিয়ে কাজ,– অনেক বিষয়েই আমার স্বভাব ও ইচ্ছা থেকে স্বতন্ত্র স্বভাব ও ইচ্ছা তাদের । আমি রাষ্ট্রনায়ক নই, শাসননিপুণ নই, মানুষকে ভেঙেচুরে পিটিয়ে পিণ্ড করে কুমোরের মতো তাই নিয়ে মূৰ্ত্তি গড়ব আমার সে শক্তিও নেই প্রবৃত্তিও নেই। মানুষ স্বাধীন ইচ্ছায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মহৎ আদর্শের চারদিকে আকৃষ্ট হবে, তার সাধনায় আপনাকে উৎসর্গ করবে এই প্রত্যাশা করি । কিন্তু এমন প্রত্যাশা কবির যোগ্য। বস্তুত নানা মানুষ আসে নানা অাকর্ষণে, কেউবা অর্থের কেউবা খ্যাতির কেউবা কর্তৃত্বের, তাদের শক্তির প্রকৃতি ও পরিমাণ নানা রকমের, তাদের মধ্যে বিরুদ্ধতাও থাকতে পারে— তাদের সবাইকে এক-শাসনে অভিভূত করে না আনতে পারলে একফললাভের আশা থাকে না । সেই শাসনকার্য্যে আমার আনন্দ নেই। অথচ যে কৰ্ম্মের প্রবর্তনা আমি করেচি সে কৰ্ম্মকে বড়ো বলেই জানি, এও জানি যাদের মনে কল্পনা নেই, বুদ্ধিতে কাঠিন্য ও তীক্ষ্ণতা থাকলেও দীপ্তি নেই এ কাজ তাদের নয়— কাজেই এই কৰ্ত্তব্যভার আমি ইচ্ছে করেই বহন করেছি। শুধু সাহিত্য নিয়েই জীবনযাপন যদি আমার পক্ষে স্বাভাবিক হোতো তাহলে মনের আনন্দে সেই পথেই চলতুম । সে আর হোলো না। অতএব নালিশ করা আমণকে শোভা পায় না । আমার কাব্য २१br