পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীককে আশ্রয় করে আর-একরকম মন করে না । অনেক মহাপুরুষ প্রতীককে অবলম্বন করে’ মনে মনে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন আবার অনেকে— যেমন কবীর দাতু নানক— প্রতীকের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়েও নিজের ধ্যানের মধ্যে জ্ঞানের জ্যোতিতে আত্মানন্দের রসেই পরম সত্যকে পূর্ণ করে ভোগ করেন— অন্ত্য পথ তাদের পক্ষে অসাধ্য । গুরুকে আমি প্রতীক শ্রেণীতে ফেলি নে । মানবের মধ্যে যেখানে পূর্ণতা মানবের দেবতার সেখানে প্রত্যক্ষ আবির্ভাব একথা অামি মানি । রচনা করবার অসামান্ত শক্তি তোমার অাছে এই জন্যেই তোমার চিঠি পড়ার আনন্দ আমাকে চিঠি লেখায় প্রবৃত্ত করে। ইতি ১০ বৈশাখ ১৩৩৮ শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৮ এপ্রিল ১৯৩১ \ર્ક শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠির উত্তরে যা আমার বলবার ছিল তা বোধ হয় বলে শেষ করেছি। একটা কথা পূর্বেও বলেচি পুনরায় বলা দরকার, আমাকে কোনো অংশেই গুরু বলে গণ্য করলে ভুল করা হবে । তোমার অন্তরতম প্রয়োজন যে কি তা নিশ্চিত N (È