পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাবিতপূর্ব উপহারগুলিও এই বাণী বহন করত। তখনকার সেই জন্মদিনের ধারা এখন আর নেই। কিছু উৎসর্গ যে তাসে না তা নয়— কিন্তু সে আসে দূরের দান পায়ের কাছে, কণ্ঠে আসে না হাতে আসে না— উপহার আসে না অঞ্জলি থেকে অঞ্জলিতে। দেবতারা কি খুসি হন তাদের পূজায়, মৰ্ত্ত যখন স্বর্গের দ্বারের প্রান্তে উদ্দেশে রেখে আসে তার নৈবেদ্য । সেই আমার অল্প বয়সের পচিশে বৈশাখের স্নিগ্ধ ভোরবেলাটা মনে ভূচে— শোবার ঘরে নিঃশব্দচরণে ফুল রেখে গিয়েছিল কারা, প্রত্য,ষের শেষ ঘুম ভরে গিয়েছিল তারি গন্ধে– তার পরে হেসেছি ভালোবাসার এই সমস্ত সুমধুর কৌশলে, তারাও হেসেছে আমার মুখের দিকে চেয়ে । সার্থক হয়েছে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ | আজ সকালে বসে বসে ছবি আঁকছিলেম— বেলা তখন নটা । এমন সময় তোমার উপহারগুলি এসে পৌছল। খুসি হয়েই হাসলুম। চিঠিতে সেটা পাঠাবার কোনো ব্যবস্থা নেই। তোমার গরদের জোড় পরব আমার জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে । তোমার পাথরের থালায় বোধ হয় এরা চন্দনের বাটি রাখবে । দুটি যে সুন্দর গড়নের বাটি দিয়েচ তার একটা লাগবে অামার ছবি আঁকার কাজে, আর একটা প্রাত্যহিক জলযোগের উপকরণরূপে । তোমার রাখাও সেদিন পরব । অপরাহু এখন রৌদ্রতাপে ক্লান্ত, মাঝে মাঝে একটা কোকিল ডাকচে বোধ হয় মুকলিপ টস গাছের ডালে বসে– এতে কবে কোকিলের আধুনিকতার প্রমাণ হয়, উচিত ছিল ওর বকুলের २8 8