পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নির্ণয় করে দেবার অধিকার আমার নেই। আমি আমার নিজের পথে চলি— সে পথে শেষ পর্য্যন্ত কোথাও পৌছব কি না তাও জানি নে । আমার চিত্তের স্বভাবই হচ্চে নদীর মতো চলা, চলতে চলতে বলা— সে ধারা একটানা চলে না— নানা বাকে বঁাকে চলে । আমি জীবনের নানা অভিজ্ঞতাকে বাণী জোগাব এই ফরমাস নিয়ে সংসারে এসেচি— কোথাও এসে স্তব্ধ হলেই আমার কাজ ফুরোবে। যারা গুরু তারা সমুদ্রের মতো আপনার মধ্যে আপনি এসে থেমেচেন, র্তাদের বাণী তরঙ্গিত হয় তাদের গভীরতা থেকে । আমার ধ্বনি ওঠে জীবনের বিচিত্র সংঘাত হতে, তাদের বাণী জাগে অন্তরাত্মার স্বকীয় আন্দোলনে ! তুমি তোমার গুরুর কাছ থেকে এমন কিছু যদি পেয়ে থাকো যা কেবলমাত্র আলাপ নয় যা আদেশ যা নির্দেশ, যা তোমার আত্মাকে গতি দিয়েচে তাহলে তার উপরে আর কথা চলে না । কেননা আমি তো কেবলমাত্র কথাই দিতে পারি, গতি জোগাতে পারিনে তো । আজ পর্য্যন্ত কাউকে তো আমি কোনো ঠিকানায় পৌছিয়ে দিই নি । সঙ্গে সঙ্গে পথ চলতে চলতে অনেককে খুসি করেচি এই পৰ্য্যন্ত । আবার অনেকে আমাকে পছন্দই করে না— কেননা তারা আন্দাজ করতে পারে যে, আমার নগদ তহবিল নেই— যদি বা কোনোমতে ভোজের আয়োজন করতে পারি দক্ষিণা পৰ্য্যস্ত পৌছয় না । .. তুমি একটি রসলোকে প্রবেশ করেচ– সেখানে তুমি নানা উপকরণে আনন্দমন্দিরের ভিৎ গাথচ । বিশ্ববিধাতা যেমন, মানুষও তেমনি, আপন স্বকীয় স্থষ্টিতেই তার যথার্থ বাস— অন্য وی (ه