পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দানকে নিন্দ করার দ্বারাই নিন্দনীয় হয়। মানুষের হৃদয়ের সৌন্দৰ্য্য তার চেয়ে বড়ো তার চেয়ে মূল্যবান, বিধাতা তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ বর আর কী দিয়েচেন ? আমি একদিন লিখেছিলেম-— বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়— আজও আমি সেই কথাই বলি– বিধাতার দানকে গ্রহণ না করে মুক্তি নয়, তাকে সত্য করে গ্রহণ করাতেই মুক্তি— সৌন্দৰ্য্যকে অস্বীকার করায় মুক্তি নয়, সৌন্দৰ্য্যকে বরণ করে নেওয়াতেই মুক্তি। কতদিন আমি বাইরের দিকে যখন তাকিয়ে থাকি আমার মনের মধ্যে সুধার ঝরনা ঝরে পড়ে— আমার অহঙ্কারের বাধা সরিয়ে রাখি বলেই তারা অস্তরে প্রবেশ করে— তোমাদের কাছ থেকে যখন সেবা পাই শ্রদ্ধ পাই, তখন আমি একান্ত খুসি হই, সে খুসিতে অহঙ্কার মিশ্রিত হলে তার প্রশস্ত পথটা রুদ্ধ হোতো । এখানে আমি জুন মাসের শেষ তারিখ পর্য্যস্ত থাকব। তার পরে যাব কলকাতায়— দুই একদিন থেকে বরানগরে যাব । কলকাতা বড় শুষ্ক কঠোর, বেশি দিন টিকতে পারি নে। যতদিন থাকতে বাধ্য হই বাইরে গাছপালার মধ্যে আশ্রয় নিতে হয়। রখী বোমা ১০ই জুলাইয়ে আসবে দেশে ফিরে— কদিন তাদের জন্ত্যে অপেক্ষ করে তাদের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে ফিরে যাব । তুমি যখনি আসবে খুসি হব নিশ্চয় জেনে । তুমি আমাকে কোনো জিনিষ দেবার চেষ্টা কোরে না— তোমার অন্তঃকরণের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আপন সম্পূর্ণ রূপেই আমাকে স্পর্শ করে, আর কিছুই আমার দরকার হয় না । v)e O