পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)brwり ১ • সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ কল্যাণীয়াস্থ বড়ে চিঠি লেখার মতো শক্তি ও উৎসাহ তামার নেই, সংক্ষেপে তুই একটা কথা বলি । জনসাধারণের মধ্যে চরিত্রের তুৰ্ব্বলতা ও ব্যবহারের অন্যায় বহুব্যাপী, সেইজন্যে শ্রেয়ের বিশুদ্ধ আদর্শ ধৰ্ম্মসাধনার মধ্যে রক্ষা করাই মানুষের পরিত্রাণের উপায় । নিজেদের আচরণের হেয়তার দোহাই দিয়ে সেই সৰ্ব্বজনীন ও চিরন্তন আদর্শকে যদি দূষিত করা যায় তাহলে তার চেয়ে অপরাধ আর কি কিছু হতে পারে ? ঠগীরা দস্থ্যবৃত্তি ও নরহত্যাকে তাদের ধৰ্ম্মেরি অঙ্গ করেছিল। নিজের লুব্ধ ও হিংস্র প্রবৃত্তিকে, চরিত্রবিকারকে, দেবদেবীর প্রতি আরোপ করে তাকে পুণ্যশ্রেণীতে ভুক্ত করাকে কি দেবনিন্দ ও পাপ বলবে না ? যারা নিজে লোভী রক্তলোলুপ, তাদের নিন্দ করে, কিন্তু দেবীকে রক্তলোলুপ প্রমাণ করার মতো বীভৎস নিন্দনীয়তা আর কী হতে পারে ? এই কুৎসিত অাদর্শবিকৃতি থেকে দেশকে রক্ষা করবার জন্তে যিনি প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রবৃত্ত, তিনি তো ধৰ্ম্মের জন্তেই প্রাণ দিতে প্রস্তুত ; শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে এই ধৰ্ম্মের উদ্দেশেই প্রাণ দিতে ও নিতে স্বয়ং উপদেশ দিয়েছিলেন । সেই উপদেশই তো রামচন্দ্রশৰ্ম্ম পালন করচেন, ধৰ্ম্মের নামকে কলঙ্কিত করে অনিচ্ছুক অশক্ত প্রাণীকে বলি দেওয়ার সঙ্গে রামশৰ্ম্মার ধৰ্ম্মোদেশে ইচ্ছাকৃত আত্মবলিকে S לט