পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミR 3 ৯ অক্টোবর ১৯৩৭ কল্যাণীয়াসু বারান্দায় বসে সন্ধ্যার সময় সুনন্দা সুধাকান্ত ও ক্ষিতিমোহন বাবুর স্ত্রীকে মুখে মুখে বানিয়ে একটা দীর্ঘ গল্প শুনিয়ে তার পরে বাদল বাতাস ঠাণ্ডা বোধ হওয়াতে ঘরে গিয়ে কেদারাতে বসেছিলুম, শরীরে কোনো প্রকার কষ্ট বোধ করি নি, অন্তত মনে নেই ; কখন মূৰ্ছা এসে আক্রমণ করল কিছুই জানি নে। রাত নটার সময় সুধাকান্ত আমার খবর নিতে এসে আবিষ্কার করলে অামার অচেতন দশা । পঞ্চাশ ঘণ্টা কেটেছে অজ্ঞান অবস্থায়, কোনো রকম কষ্টের স্মৃতি মনে নেই। ইতিমধ্যে ডাক্তার এসে রক্ত নিয়েছে, গ্র কোজ শরীরে চালনা করেছে, কিন্তু আমার কোনো ক্লেশবোধ ছিল না । জ্ঞান যখন ফিরে আসছিল তখন চৈতন্তের আবিল অবস্থায় ডাক্তারদের কৃত উপদ্রবের কোনে। অর্থ বুঝতে পারছিলুম না। দীর্ঘকাল পরে মন মোহমুক্ত হোলো । তোমরা দূরে বসে আমার রোগের যেসব বিভীষিকা কল্পনা করছিলে তার সমস্তই অমূলক। রোগের আকস্মিক আবির্ভাব হয় তো সাংঘাতিক, কিন্তু তার আদি অন্তে মধ্যে লেশমাত্র দুঃখ অামি পাই নি । একটা স্থবিধ। এই হয়েছে সংসারের হাজার রকম দাবী থেকে নিস্কৃতি নিতে পেরেছি। প্রতিদিন চিঠি আসচে বাকে বাকে, কেউ চায় প্রবন্ধ, কেউ চায় তাদের কোনো অধ্যবসায়ের ՎséՀ