পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিতে হয়। তুমি বলচ সম্প্রতি তোমার জীবনে প্রশংসাও চলচে গালমন্দও জাগচে, এটা খুব খারাপ লক্ষণ নয়, এই অভিজ্ঞতার মধ্যেই আটাত্তর বছর কাটিয়ে দিয়েছি— শেষ পর্যন্তই কাটবে— নিরবচ্ছিন্ন সমাদর সত্য হয় না । . . . . . 'র হাতে আমার লাঞ্ছনা কম হয় নি— আবার কিছু দিনের জন্তে বঁাক ফিরেছে, সম্মানের আশা হয়েছে— কিন্তু তাকে স্থায়ী বলে নিশ্চিন্ত হওয়া মূঢ়ত । নাই বা হোলো স্থায়ী। ভিতরের সত্য যদি মুখের কথার একটু গরম হাওয়া লাগলেই শুকিয়ে পড়ে, তাহলে সে সত্যই নয়, তার মরাই সদগতি। সংসার আমাদের প্রশ্রয় দেবে না আমরাও পদে পদে মাথা হেট করে তাকে সেলাম ঠুকব না। দেখচ তো ইংলণ্ড আজকাল শান্তিলাভের তুরাশায় ধুলোয় লুটিয়ে পড়ে কী রকম ল্যাজ নাড়চে– এই অপমানিত শাস্তি টিকতে পারে না অথচ অপমানটা টিকবে । ভীরুর মত অসম্মানের সঙ্গে রফা করতে চাইব না, তাকে অগ্রাহ্য করলেই সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে – এই মাত্র দেখা গেল যাকে বিশ্বাস করেছি আদর করেছি সে বিনা কারণে ফণা ধরে উঠেছে তাই বলে মনসার পূজো দিতে ছুটব না আমি যে শিবের পুজারি তার জটার পাকে পাকে সাপ থাকে বাধা, কণ্ঠে মিলিয়ে যায় বিষ । ইতি ১৬১২।৩৮ प्रांम ७१३